লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হাসমত উল্লাহ (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দুই ভাতিজা তোফায়েল ও মোহনসহ তাদের ভাড়া করা লোকজন হাসমতকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

এর পর মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রামগঞ্জ পৌরসভার বাঁশঘর এলাকার আহম্মদ আলী হাজীর বাড়িতে অভিযুক্তদের বসতঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে তোফায়েল ও মোহন তার চাচা হাসমতের ওপর হামলা করেন। হাসমতকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হাসমতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তদের বসতঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন নিহতের পরিবারের লোকজন। পরে লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিহত হাসমত বাঁশঘর এলাকার আহম্মদ আলী হাজী বাড়ির বাসিন্দা। অভিযুক্ত তোফায়েল ও মোহন একই বাড়ির আমানত উল্লার ছেলে।

নিহতের ছেলে মো.

মাসুদ বলেছেন, একাধিকবার জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্তরা শান্ত হননি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

ঘটনার পর থেকে তোফায়েল ও মোহন আত্মগোপনে আছেন। চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কেউ আটকও নেই। অভিযুক্তদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও জানা নেই।

ঢাকা/লিটন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত র ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক তরুণীকে (১৯) বসতঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ আরাফাত ইসলাম ওরফে সাকিবকে (১৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ওই তরুণীর স্বজনেরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা আজ মঙ্গলবার নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আটক আরাফাতকে ওই তরুণীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ওই তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার এক যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর স্বামী তাঁর খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। তখন থেকে ওই তরুণী তাঁর বাবার বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী তরুণ আরাফাত ইসলাম ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর থানায় করা এজাহারে অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে বসতঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন আরাফাত। একপর্যায়ে তরুণী দরজা খুললে তিনি ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে ঘরের লোকজনের ঘুম ভাঙলে তাঁরা আরাফাতকে আটক করেন। পরে তাঁকে কবিরহাট থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতেন আরাফাত। সর্বশেষ গতকাল রাতে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তরুণী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার