বাংলাদেশে কারখানা চালু করল স্মার্টফোন নির্মাতা অনার
Published: 2nd, December 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে এআই প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্টফোন তৈরির কারখানা চালু করেছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অনার। চীনের পাঁচটি অঞ্চল ও ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরি কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ কারখানার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ সময় কারখানা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পরিচালক মো.
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারখানাটিতে একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন দেড় হাজার ফোন তৈরি করা হবে। এক বছরের মধ্যেই আরও চারটি লাইন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, ফলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। কারখানাটিতে তৈরি প্রতিটি ফোনেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে। ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের প্রযুক্তি সক্ষমতা তুলে ধরা যাবে। কারখানায় যন্ত্রাংশ সংযোজনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই প্রযুক্তিচালিত অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ফোনগুলোর মান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এখন আমাদের নিজেদের দক্ষতার যে ঘাটতি রয়েছে, তা কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা আরও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি তরুণদের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে। এই কারখানা চালুর মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, দক্ষতা-বিনিময়ের সুযোগ বাড়বে এবং নতুন উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন। সরকারের ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারের হার বৃদ্ধি করবে।’
অনারের স্মার্টফোন তৈরির কারখানাউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে সন্ধ্যায় খেলার মাঠ থেকে ছয় শিশু–কিশোরকে অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় খেলার সময় ছয় শিশু–কিশোরকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের মধ্যে দুজন কৌশলে পালিয়ে এলেও চারজন এখনো জিম্মি রয়েছে।
এ ঘটনা ঘটে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলখালী পূর্বপাড়ায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় শিশু–কিশোরদের খেলাধুলার সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ছয়জনকে জিম্মি করে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায়। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
হাফেজ আহমদ বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে অবহিত করেছে। আমরা ও পুলিশ মিলে অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে পাহাড়ে তল্লাশি চালাচ্ছি। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চার শিশুর খোঁজ মেলেনি। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যেই অপহরণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘শিশু–কিশোরদের অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি। অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে আমরা কাজ করছি।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। অধিকাংশই মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে এসেছে।