গোপালগঞ্জে সাংবাদিক সেজে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন দুই ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন—গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের মোহাম্মদ সোলায়মান শেখের ছেলে মো. মনিরুল শেখ এবং একই উপজেলার চর বয়রা গ্রামের বালা শেখের ছেলে হাকিম শেখ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া বাজারের দোকানদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা কিছুদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বেকারি, মিষ্টির দোকান ও রেস্টুরেন্ট থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয় এবং পরে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোপালগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। পরে তাদেরকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো.

শাহ আলম বলেছেন, গোপালগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্প থেকে দুই ব্যক্তিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। 

ঢাকা/বাদল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ সদর গ প লগঞ জ স উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লিনিকের বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার, দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

মাদারীপুর শহরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের বাথরুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসাসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব। শিশুটির সুস্থতা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ দেখভালের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে লেকের দক্ষিণপাড় এলাকার বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাথী বেগম এক দিন বয়সী নবজাতককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

সিনিয়র স্টাফ নার্স রিয়া আক্তার জানিয়েছেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার সময় অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। দ্রুত সেবা ও চিকিৎসায় বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

ওই নবজাতকের মা-বাবার পরিচয় শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেছেন, “শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ তার পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।”

বুধবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে ওই নবজাতকের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিশুটির নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যয় ও ভবিষ্যৎ পরিচর্যার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

ইউএনও ওয়াদিয়া শাবাব বলেছেন, “নবজাতকের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।”

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ওই নবজাতককে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তবে, সে এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নয়।

ঢাকা/বেলাল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ