বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিশেষ দোয়া মাহফিল হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর এই দোয়া মাহফিল করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড.

আব্দুল মজিদ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম। 

আরো পড়ুন:

খালেদা জিয়া বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় কি না, দেখার পর তারেকের ফেরার সিদ্ধান্ত

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া

দোয়া মাহফিলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। 

গত ২৩ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৭ নভেম্বর দুপুরে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিসিইউতে নেওয়া হয়। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগ, লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। 

ঢাকা/ইমদাদুল/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লিনিকের বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার, দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

মাদারীপুর শহরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের বাথরুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসাসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব। শিশুটির সুস্থতা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ দেখভালের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে লেকের দক্ষিণপাড় এলাকার বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাথী বেগম এক দিন বয়সী নবজাতককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

সিনিয়র স্টাফ নার্স রিয়া আক্তার জানিয়েছেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার সময় অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। দ্রুত সেবা ও চিকিৎসায় বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

ওই নবজাতকের মা-বাবার পরিচয় শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেছেন, “শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ তার পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।”

বুধবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে ওই নবজাতকের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিশুটির নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যয় ও ভবিষ্যৎ পরিচর্যার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

ইউএনও ওয়াদিয়া শাবাব বলেছেন, “নবজাতকের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।”

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ওই নবজাতককে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তবে, সে এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নয়।

ঢাকা/বেলাল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ