বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরা।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে তাদের দেখতে যাওয়ার বিষয়টি এক বার্তায় জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আরো পড়ুন:

আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার সেনাবাহিনী গড়ে তোলার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বার্তায় বলা হয়, “সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন।”

তাদের বহনকারী গাড়ি রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতে দেখা যায়। তারা হাসপাতালে কিছু সময় থাকার পর রাত ৯টা ২০ এর পর বেরিয়ে আসেন।

এদিকে, এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঘিরে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সেখানে নিয়োজিত করা হয়েছে। কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে হাসপাতালের প্রধান ফটক।

খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ ম্যাচে আজারবাইজানের কাছে হারল বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজের শেষ ম্যাচে লড়াই করেও হাসল না বাংলাদেশের ভাগ্য। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শক্তিশালী আজারবাইজানের বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মারিয়া-ঋতুপর্ণাদের।

র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক উপরে থাকা আজারবাইজানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। বল দখল, থ্রু পাস কিংবা উইং ব্যবহার; সব জায়গাতেই আক্রমণ সাজিয়েছে স্বাগতিকরা। তবে প্রথম গোলের দেখা পায় অতিথিরাই।

আরো পড়ুন:

হিট অব দ‌্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে, নির্বাচকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে লিটন

লিটনের বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত, তবে…

২০ মিনিটে ডান দিক থেকে বানিয়া ইশরাকের নিখুঁত ক্রসে নিখুঁত হেডে দলকে এগিয়ে নেন আজারবাইজানের অধিনায়ক জাফরজাদা শেভিঞ্জে। এর চার মিনিট আগেই তার তোলা ফ্রি কিক কর্নারে পরিণত করে বড় বিপদ ঠেকিয়েছিলেন রুপনা চাকমা।

৩২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ঋতুপর্ণার চমৎকার থ্রু পাস ধরে মনিকা চাকমা শট নিতেই দ্রুত এগিয়ে এসে শরীর দিয়ে ঠেকিয়ে দেন আজারবাইজানের গোলরক্ষক শরীপোভা। কিন্তু স্বাগতিকদের অপেক্ষা বেশি দীর্ঘ হয়নি। পরের মিনিটেই স্বপ্নার কর্নার থেকে বল ফিস্ট করে দূরে সরাতে গিয়ে ভুল করেন শরীপোভা। সেই সুযোগে বক্সের ভেতর বল পেয়ে অসাধারণ শটে জাল খুঁজে নেন মারিয়া মান্ডা। তাতে সমতা ফেরে ম্যাচে।

বিরতির পর দুই দলই আক্রমণের ধার বাড়ালেও গোলের সামনে গিয়ে ব্যর্থতায় ভুগতে থাকে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি ভাগ করে নেয়। কিন্তু ৮৩ মিনিটে আবারও দুর্বলতা দেখা দেয় বাংলাদেশের ডিফেন্সে। বাঁ প্রান্ত থেকে ইয়েলিজের ক্রসে ফাঁকায় দাঁড়ানো মানিয়া ইসরা ডান পায়ের শক্তিশালী শটে গোল করে আজারবাইজানকে দ্বিতীয়বারের মতো লিড এনে দেন। যা আর ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়াই করেও ২-১ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।

ত্রিদেশীয় সিরিজে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে আজারবাইজান ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে অপরাজিতভাবেই প্রতিযোগিতা শেষ করেছে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ