ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজের শেষ ম্যাচে লড়াই করেও হাসল না বাংলাদেশের ভাগ্য। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শক্তিশালী আজারবাইজানের বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মারিয়া-ঋতুপর্ণাদের।

র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক উপরে থাকা আজারবাইজানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। বল দখল, থ্রু পাস কিংবা উইং ব্যবহার; সব জায়গাতেই আক্রমণ সাজিয়েছে স্বাগতিকরা। তবে প্রথম গোলের দেখা পায় অতিথিরাই।

আরো পড়ুন:

হিট অব দ‌্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে, নির্বাচকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে লিটন

লিটনের বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত, তবে…

২০ মিনিটে ডান দিক থেকে বানিয়া ইশরাকের নিখুঁত ক্রসে নিখুঁত হেডে দলকে এগিয়ে নেন আজারবাইজানের অধিনায়ক জাফরজাদা শেভিঞ্জে। এর চার মিনিট আগেই তার তোলা ফ্রি কিক কর্নারে পরিণত করে বড় বিপদ ঠেকিয়েছিলেন রুপনা চাকমা।

৩২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ঋতুপর্ণার চমৎকার থ্রু পাস ধরে মনিকা চাকমা শট নিতেই দ্রুত এগিয়ে এসে শরীর দিয়ে ঠেকিয়ে দেন আজারবাইজানের গোলরক্ষক শরীপোভা। কিন্তু স্বাগতিকদের অপেক্ষা বেশি দীর্ঘ হয়নি। পরের মিনিটেই স্বপ্নার কর্নার থেকে বল ফিস্ট করে দূরে সরাতে গিয়ে ভুল করেন শরীপোভা। সেই সুযোগে বক্সের ভেতর বল পেয়ে অসাধারণ শটে জাল খুঁজে নেন মারিয়া মান্ডা। তাতে সমতা ফেরে ম্যাচে।

বিরতির পর দুই দলই আক্রমণের ধার বাড়ালেও গোলের সামনে গিয়ে ব্যর্থতায় ভুগতে থাকে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি ভাগ করে নেয়। কিন্তু ৮৩ মিনিটে আবারও দুর্বলতা দেখা দেয় বাংলাদেশের ডিফেন্সে। বাঁ প্রান্ত থেকে ইয়েলিজের ক্রসে ফাঁকায় দাঁড়ানো মানিয়া ইসরা ডান পায়ের শক্তিশালী শটে গোল করে আজারবাইজানকে দ্বিতীয়বারের মতো লিড এনে দেন। যা আর ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়াই করেও ২-১ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।

ত্রিদেশীয় সিরিজে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে আজারবাইজান ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে অপরাজিতভাবেই প্রতিযোগিতা শেষ করেছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে তিন দিনের চামড়া পণ্য প্রদর্শনী

চামড়াশিল্প, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, জুতার বিভিন্ন উপকরণ, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্য নিয়ে রাজধানী ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৫’ নামে আয়োজিত এ প্রদর্শনী শুরু হবে। ১১তম বারের মতো আয়োজিত এ আসরে বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

আয়োজকেরা জানান, প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ মোট আটটি দেশ থেকে প্রায় ২০০টি কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রদর্শনীতে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস ইন্ডিয়া (সিএলই), পাকিস্তান ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিটিএ), ইন্ডিয়া ফুটওয়্যার কম্পোনেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইফকোমা) ও চীনের গুয়াংডং সু–মেকিং মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) আলাদা প্যাভিলিয়ন থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেদারটেক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ১১ বছর আগে। শুরুতে এটি ছিল একটি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্ল্যাটফর্ম। সময়ের সঙ্গে এ আয়োজনটি বাংলাদেশের চামড়া, জুতা ও সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের পরই বাংলাদেশের চামড়া ও জুতাশিল্পের অবস্থান। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের ৩ শতাংশ ও বৈশ্বিক চামড়ার মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে এই শিল্প। শিল্পনীতি ২০২২–এ রপ্তানি বহুমুখীকরণের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চামড়াকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ