পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিল আজারবাইজান, বাটলার বললেন ‘আমি জাদুকর নই’
Published: 2nd, December 2025 GMT
ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারের পর দলে গোলমালের গন্ধ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আজারবাইজানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের ২-১ গোলে হারের পর বাটলার বললেন, তিনি কোনো জাদুকর নন।
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দুই ম্যাচ হেরেও অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন বাটলার।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিবাচক দিক হলো, ১১ জন খেলোয়াড়কে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামা। গত দুটি ম্যাচে তারা যে দুর্দান্ত মনোভাব দেখিয়েছে, সেই মনোভাব নিয়ে আজকের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাও ইতিবাচক। আপনাকে সত্যিই বাস্তববাদী হতে হবে।’
জাদুকরের মতো রাতারাতি বা মুহূর্তে সবকিছু বদলে দেওয়ার মতো জিয়নকাঠি তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বাটলার, ‘যখন আপনারা শিশুদের জন্মদিনের পার্টিতে যান এবং সেখানে একজন জাদুকর থাকে, আর তিনি একটি বড় কালো টুপি থেকে সাদা খরগোশ বের করেন। আপনি কি মনে করেন আমি সেই জাদুকর? আমি শিশুদের জন্মদিনের পার্টির সেই জাদুকর নই যে সাদা খরগোশ বের করব।’
এশিয়ান বাছাইয়ের প্রস্তুতিতে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশে মেয়েরা। চারটির কোনোটিতে জেতা হয়নি। এ সিরিজের আগে গত অক্টোবরে থাইল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।
যদিও দলগুলো বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্তা ও র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে। আজারবাইজানের বর্তমান র্যাঙ্কিং ৭৪, তারা বাংলাদেশের (১০৪তম) চেয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে। মালয়েশিয়া ১২ ধাপ আর থাইল্যান্ড এগিয়ে ৫১ ধাপ।
বাটলার প্রতিপক্ষদের শক্তিমত্তায় চোখ রেখেই খানিকটা স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন, ‘আমাদের কোনো ট্রেনিং সুবিধা নেই, আলোচনা করার মতো কোনো জিম নেই। আলোচনা করার মতো কোনো লিগ নেই। তবু তো মেয়েরা উন্নতি করছে। তাদের প্রচেষ্টাকে আমি দশে দশ নম্বর দেব। খেলার মানের কথা বললে সম্ভবত পাঁচ-ছয় দিতে পারি।’
কয়েকটি জায়গায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আজারবাইজান। জয়ের পর দলটির কোচ সিয়াসাত আসগারভও সেই পার্থক্যগুলো তুলে ধরেছেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের একটি বড় সুবিধা হলো, বেশির ভাগ খেলোয়াড় বিদেশি ক্লাবে খেলে। এতে তাদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ দল আমাদের তুলনায় বয়সে কম। আর আমাদের ম্যাচ প্র্যাকটিসও তাদের চেয়ে বেশি। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকেও আমাদের খেলোয়াড়েরা বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিল আজারবাইজান, বাটলার বললেন ‘আমি জাদুকর নই’
ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারের পর দলে গোলমালের গন্ধ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আজারবাইজানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের ২-১ গোলে হারের পর বাটলার বললেন, তিনি কোনো জাদুকর নন।
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দুই ম্যাচ হেরেও অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন বাটলার।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিবাচক দিক হলো, ১১ জন খেলোয়াড়কে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামা। গত দুটি ম্যাচে তারা যে দুর্দান্ত মনোভাব দেখিয়েছে, সেই মনোভাব নিয়ে আজকের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাও ইতিবাচক। আপনাকে সত্যিই বাস্তববাদী হতে হবে।’
জাদুকরের মতো রাতারাতি বা মুহূর্তে সবকিছু বদলে দেওয়ার মতো জিয়নকাঠি তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বাটলার, ‘যখন আপনারা শিশুদের জন্মদিনের পার্টিতে যান এবং সেখানে একজন জাদুকর থাকে, আর তিনি একটি বড় কালো টুপি থেকে সাদা খরগোশ বের করেন। আপনি কি মনে করেন আমি সেই জাদুকর? আমি শিশুদের জন্মদিনের পার্টির সেই জাদুকর নই যে সাদা খরগোশ বের করব।’
এশিয়ান বাছাইয়ের প্রস্তুতিতে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশে মেয়েরা। চারটির কোনোটিতে জেতা হয়নি। এ সিরিজের আগে গত অক্টোবরে থাইল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।
যদিও দলগুলো বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্তা ও র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে। আজারবাইজানের বর্তমান র্যাঙ্কিং ৭৪, তারা বাংলাদেশের (১০৪তম) চেয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে। মালয়েশিয়া ১২ ধাপ আর থাইল্যান্ড এগিয়ে ৫১ ধাপ।
বাটলার প্রতিপক্ষদের শক্তিমত্তায় চোখ রেখেই খানিকটা স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন, ‘আমাদের কোনো ট্রেনিং সুবিধা নেই, আলোচনা করার মতো কোনো জিম নেই। আলোচনা করার মতো কোনো লিগ নেই। তবু তো মেয়েরা উন্নতি করছে। তাদের প্রচেষ্টাকে আমি দশে দশ নম্বর দেব। খেলার মানের কথা বললে সম্ভবত পাঁচ-ছয় দিতে পারি।’
কয়েকটি জায়গায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আজারবাইজান। জয়ের পর দলটির কোচ সিয়াসাত আসগারভও সেই পার্থক্যগুলো তুলে ধরেছেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের একটি বড় সুবিধা হলো, বেশির ভাগ খেলোয়াড় বিদেশি ক্লাবে খেলে। এতে তাদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ দল আমাদের তুলনায় বয়সে কম। আর আমাদের ম্যাচ প্র্যাকটিসও তাদের চেয়ে বেশি। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকেও আমাদের খেলোয়াড়েরা বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে।’