মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
Published: 2nd, December 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার ঘটনায় একই এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেনের (শিবলু) বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন এজাজ হোসাইন মারওয়ান নামের এক ব্যক্তি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল হক এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন রাখেন।
এ মামলায় চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জানান, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধি আইনে ৪২৮ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা দুই বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন এই আইনজীবী।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিপলস ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে মামলার আবেদন করেন নাফিসা নওরীন চৌধুরী। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ আসামি আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর গত ১৪ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়। পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পর পা দিয়ে পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ক ষ য গ রহণ ম হ ম মদপ র আস ম র
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএলের আগে মুমিনুলকে সিডনিতে খেলার সুযোগ দিলেন হাথুরুসিংহে
-চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাহলে আপনার এখন সবচেয়ে প্রিয় মানুষ?
- এই- যে আবার শুরু হয়ে গেছে…
ফোনের ওপাশে মুমিনুল হকের হাসি থামে না। বলতে থাকেন, ‘এগুলো বানানো কথা।’ কোনটা বানানো, কোনটা অপ্রিয় কিংবা কোনটা প্রিয় সেগুলো মাঠে নিয়মিত যারা খোঁজ খবর রাখেন তারা সবটাই জানেন। যেমন-এটা সত্য হাথুরুসিংহে ও মুমিনুলের রসায়ন এখন দারুণ। দারুণ পেশাদার।
তেমনি এটাও সত্য- হাথুরুসিংহের প্রথম অধ্যায়ে দুজনের সম্পর্ক শীতল ছিল না। তাদের রসায়ন খুব একটা জমেনি। মুমিনুল সেরা সময়ে ছিলেন। তার ব্যাটিং গড় ছিল পঞ্চাশ পেরিয়ে। কিন্তু হাথুরুসিংহের সময়ে মুমিনুল নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। ফর্ম হারিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে রান ভুলেছিলেন। শিষ্যের ভুল না শুধরে উল্টো সমালোচনা করেছিলেন হাথুরুসিংহে। শর্ট বল খেলতে পারেন না, মুমিনুলকে নিয়ে এমন কথাও বলেছিলেন।
সময়ের স্রোতে দুজনের সম্পর্ক, রসায়ন এখন তুঙ্গে। পুরোনো শিষ্যর সঙ্গে হাথুরুসিংহের বোঝাপড়া দারুণ। তাইতো সিডনিতে তাকে খেলার সুযোগও করে দিয়েছেন তিনি। সিডনিতে গ্রেড ওয়ান ক্রিকেটের দল ব্ল্যাকটাউনের হয়ে খেলতে আগামীকাল বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিচ্ছেন মুমিনুল।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতা সিডনিতে বেশ জনপ্রিয়। ২৩ বছর ধরে ব্ল্যাকটাউন ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এই ক্লাবের হয়েই একদিনের ম্যাচ ও দুই দিনের ম্যাচ খেলার কথা ছিল মুমিনুল হকের। লম্বা সময় থাকার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু বিপিএলে দল পেয়ে যাওয়ায় সূচিতে পরিবর্তন এনেছেন।
আপাতত মুমিনুল খেলবেন তিনটি একদিনের ম্যাচ। এরপর দেশে ফিরে সিলেট টাইটান্সের হয়ে খেলবেন বিপিএল। পরে সুযোগ হলে আবার দিতে চান উড়াল।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেও মুমিনুল অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলে ব্যক্তিগত কাজে। কাজের ফাঁকেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে কয়েকটি সেশন করেছেন। নিবিড়ভাবে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। এবারও তেমন পরিকল্পনা করেই লম্বা সময় সিডনিতে থাকতে চেয়েছিলেন। এপ্রিলের আগে বাংলাদেশের টেস্ট নেই। মুমিনুলের আশা বিপিএলের পরও সময় পাওয়া যেতে পারে।
রাইজিংবিডিকে মুমিনুল বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছি। হাথুরুসিংহে একটা ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপাতত তিনটা একদিনের ম্যাচ খেলবো। বিপিএলে দল পাবো কিনা নিশ্চিত ছিলাম না। যেহেতু পেয়েছি বিপিএলও খেলবো। হাথুরুসিংহে খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তার সঙ্গে আগেই আমার যোগাযোগ ছিল।’’
‘‘আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে তার সঙ্গে আমার কাজ করা হয়েছে। বেশ ভালো কয়েকটি সেশন কাটিয়েছি। ব্যাটিংটা করে উপভোগ করেছি। হয়তো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেলে পূর্ণতা পেত। কিন্তু যেটা হয়েছে তা আলহামদুলিল্লাহ। এবারও তার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান সেশন করবো। বিপিএল খেলি। এরপর সুযোগ হবে আশা করি। তখন আবার যাওয়া যাবে।’’ - বলেছেন মুমিনুল।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন