সুদানের দক্ষিণ করদোফান অঞ্চলে একটি কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৩৩ শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

চলমান গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) বৃহস্পতিবারের এই হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে সুদানের চিকিৎসকদের সংগঠন ‘সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক’ ও সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে আরএসএফ কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্টো আরএসএফ অভিযোগ করেছে, শুক্রবার সেনাবাহিনী দারফুর অঞ্চলের চাঁদ সীমান্তবর্তী আদ্রে ক্রসিং এলাকার একটি জ্বালানি ডিপো ও বাজারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের ক্ষমতা দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে সুদান বিধ্বস্ত।

সেনাবাহিনী সমর্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ড্রোন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হানে। আহতদের সাহায্য করতে আসা সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের ওপরও হামলা হয়।

কালোগির হামলার পর ইউনিসেফের মুখপাত্র শেলডন ইয়েট বলেন, “স্কুলে শিশুদের হত্যা শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ ঘটনা। কোনো সংঘাতের মূল্য কখনোই শিশুদের দিয়ে চুকানো উচিত নয়।” 

তিনি সব পক্ষকে অবিলম্বে এসব হামলা বন্ধ করতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে নিরাপদ, বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানান।

আরএসএফ দাবি করেছে, আদ্রে সীমান্ত ক্রসিংটি মানবিক সহায়তা ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়ায় সেনাবাহিনী সেখানে হামলা চালিয়েছে।

দেশটির রাজধানী খার্তুম ও দারফুরের মাঝামাঝি থাকা উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম করদোফান মিলে গঠিত অঞ্চলটি গৃহযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন। প্রায় ৮০ লাখ জনসংখ্যার এই করদোফান এলাকায় সেনাবাহিনী দারফুরের দিকে অগ্রসর হওয়ায় লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।

ঢাকা/ইভা   

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিতে চায় কাতার

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন‍্যে এয়ার অ‍্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করবে কাতার।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে কাতারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপিকে এ তথ‍্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ২৯ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিঠি লেখেন ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরাইয়া আলী আল কাহতানির কাছে।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে আজও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সহায়তায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিয়েল গতকাল বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। তাঁর চিকিৎসায় চিকিৎসায় সহায়তা করতে গতকালই যোগ দেন চীন থেকে আসা চার সদস্যের আরেকটি চিকিৎসক দল। গতকাল রাত নয়টার পর তাঁরা ঢাকায় অবতরণ করেন। সেখান থেকে তাঁরা সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন।

দেশের একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালের চিকিৎসক এবং লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তাঁর চিকিৎসায় সহায়তা করতে ১ ডিসেম্বর চীনের চিকিৎসকদের পাঁচ সদস্যের একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় আসে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ৪৬ শিশুসহ নিহত ১১৪
  • খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে রাতে 
  • খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে বিলম্ব হতে পারে
  • খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন যাচ্ছেন যারা
  • খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেনের মা সিসিইউতে
  • খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিতে চায় কাতার