৭ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে ফিরছে জেএসএস
Published: 7th, December 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বড় আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) জাতীয় নির্বাচনের রাজনীতিতে ফিরছে। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটি।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি—তিন আসনেই প্রার্থী দেবে দলটি। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে জেএসএস।
২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জেএসএসের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচন হলে জেএসএস অংশ নেবে। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঊষাতন তালুকদার। তবে দেশের ওই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী দীপংকর তালুকদারকে হারিয়ে জিতেছিলেন জেএসএসের সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার।
জেএসএস সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে দ্বিতীয় হয়েছিলেন জেএসএসের সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার।
জাতীয় নির্বাচনে জেএসএসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্বাচনী রাজনীতির হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রগুলো। কেননা, ৫০ বছরের বেশি পুরোনো পাহাড়ের এই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রয়েছে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাবনা কার্যত নেই। এতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মূল লড়াই হওয়ার কথা থাকলেও পাহাড়ে তা হচ্ছে না। এখানে অন্যতম মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকবে জেএসএস। ইউপিডিএফও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঊষাতন তালুকদার। তবে দেশের ওই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জানান, পাহাড়ের স্থানীয় ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে ভূমিকা রাখে আঞ্চলিক দলগুলো। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) না থাকায় এই দলগুলোর গুরুত্ব আরও বাড়বে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭২ সালে। সক্রিয় রাজনৈতিক দল না হলেও ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতি কল্যাণ পরিষদের’ ব্যানারে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমা। যিনি জেএসএসের প্রতিষ্ঠাতা।
পার্বত্য চুক্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে গঠিত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। ২০০৭ সালে জেএসএস ভেঙে তৈরি হয় জেএসএস (এম এন লারমা)। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফ ভেঙে তৈরি হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।
জেএসএসের সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক দল কর ছ ল ন য় র জন ত অন ষ ঠ ইউপ ড
এছাড়াও পড়ুন:
শাকসু নির্বাচন: মনোনয়নপত্র নিলেন ২৫১ জন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শেষ হয়েছে। গত তিনদিনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২৫১ জন। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৪৫ এবং হল সংসদের জন্য ১০৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিন ২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি এবং হল সংসদে ২০টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সংসদে ৫৮টি ও হলে ৪৫টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) শেষ দিনে কেন্দ্রীয় সংসদে ৬১টি এবং হলে ৪১টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়।
তিন দিনের হিসেবে কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ১৪৫টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে। হল সংসদে বিতরণ হয়েছে ১০৬টি মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৭২ জন এবং নারী প্রার্থী ৩৪ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনেও নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে মোট ১৫ জন নারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে মনোনয়নপত্র বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এবার প্রার্থীসংখ্যা ভালো, নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণও উৎসাহজনক।”
ঢাকা/রাহাত/মাসুদ