শীতে ঠান্ডা পানি নাকি কুসুম গরম পানি পান করবেন?
Published: 7th, December 2025 GMT
শীতকালে ঘাম কম হয়,পানি পিপাসাও কম লাগে। এ সময় শরীরকে সতেজ রাখতে দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা জরুরি। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি নাকি কুসুম গরম পানি পান করবেন—সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা কেমন পানি পান করছেন তার ওপর সুস্থতা নির্ভর করে।
ঠান্ডা পানি পানের ঝুঁকি
আরো পড়ুন:
টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান
শীতকালে শিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা
ঠান্ডা পানি হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দিতে পারে।গলা ব্যথা ও সাইনাস বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি মাথাব্যথা বাড়াতে পারে। ঠান্ডা পানি হার্টবিট কমাতে পারে, যা হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কেমন পানি পান করা উচিত
ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখতে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বা হালকা গরম পানি পান করা ভালো।
চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘ঘরের তাপমাত্রার পানি বা হালকা গরম পানি পান করা উত্তম, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক।’’
কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা
কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। কিডনি ও লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কুসুম গরম পানি রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী, ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।এ ছাড়াও ঠান্ডাজনিত সমস্যা এড়ানো যায়।
উল্লেখ্য যারা অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ব্যায়ামের পরে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি উপকারী হতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক স ম গরম প ন প ন কর উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের কঠিন শর্ত! অক্ষয়-শিল্পার তুমুল প্রেম ভেঙে যায়
নব্বইয়ের দশকে বলিউডের আলোচিত তারকা জুটি ছিলেন অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠি। পর্দার বাইরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’। এই তারকা জুটিকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত বিভিন্ন জায়গায়। তাঁদের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে তাঁদের দুজনের পরিবারও তা জানত, শেষ পর্যন্ত তা বিয়ের কথাবার্তায় গড়ায়। তিনি বাধ সাধে শিল্পা শেঠির পরিবার। তারা যে শর্ত দেয়, তার কারণেই বিচ্ছেদ হয় আলোচিত এই জুটির। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খোলেন অক্ষয়ের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সুনীল দর্শন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি শিল্পা শেঠি ও অক্ষয় কুমারের সম্পর্কের এক অজানা দিক নিয়ে কথা বলেন। বলিউড ঠিকানায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান, তাঁরা ছিলেন সবচেয়ে ‘সুদর্শন জুটি’, কিন্তু ভাগ্যের ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল তাঁদের নিয়ে
অক্ষয় কুমার আমাকে ব্যবহার করেছে, তারপর সুবিধামতো ফেলে দিয়েছে, যখন টুইঙ্কেলের প্রেমে পড়েছে। একমাত্র ওর ওপরই আমার রাগ ছিল। তবে আমি নিশ্চিত, ও একদিন সবকিছুর প্রতিদান পাবে। অতীতকে ভুলে যাওয়া সহজ নয়, কিন্তু আমি খুশি যে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছি। আজ ও আমার জীবনের এক বিস্মৃত অধ্যায়। আমি আর কখনো ওর সঙ্গে কাজ করব না।শিল্পা শেঠিজ্যোতিষীর যে ভবিষ্যদ্বাণী
সুনীল দর্শন বলেন, তিনি আগে শুনেছিলেন যে টুইঙ্কেল খান্নার বাবা রাজেশ খান্নার ঘনিষ্ঠ একজন জ্যোতিষী অক্ষয় ও টুইঙ্কেলের বিয়ে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে সুনীল বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে তাঁদের একে অন্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে দেখুন, শিল্পার মা–বাবা যদি এই শর্ত না রাখতেন, তাহলে তাঁদের জীবন অন্য রকম মোড় নিত।’
কী ছিল শিল্পার মা-বাবার শর্ত
শিল্পা শেঠির মা-বাবার দেওয়া শর্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সুনীল বলেন, ‘মা–বাবা হিসেবে, তাঁদের মেয়ের নিরাপত্তার জন্য মা–বাবার যা কিছু প্রয়োজন, সেটাই তাঁরা চেয়েছিলেন। এটা কোনো ভুল নয়।’ সুনীলের কাছে তখন জানতে চাওয়া হয়, তিনি আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলছেন কি না? উত্তরে এই পরিচালক বলেন, ‘সব ধরনের নিরাপত্তাই, সব মা-বাবা এটা চান।’