যুক্তরাষ্ট্র থেকে সৈয়দপুর, তারপর বিমানবন্দর থেকেই সোজা সমাবর্তনে
Published: 7th, December 2025 GMT
‘সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল গত ২২ নভেম্বর। সেদিন সকালেই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমেছি। আগে থেকেই মা–বাবা অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর থেকেই সোজা ক্যাম্পাসে গিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। প্রায় আট বছর পর ফিরলাম। ক্লান্তি ছিল। কিন্তু রোমাঞ্চ তার চেয়ে বেশি।’ কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তনে অংশ নেওয়া এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে স্নাতক শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখন সেখানে ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস ফর মেডিকেল সায়েন্সেসে পিএইচডি করছেন। নাম জিজ্ঞাসা করতেই বলেন, ‘জীবনে তো এখনো কিছু করতে পারিনি। আরও বড় কিছু করি, তারপর নাহয় নাম লিখবেন।’
ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের এই ছাত্রের মতোই ‘বড় কিছু’ করার স্বপ্ন হাবিপ্রবির আরও বহু শিক্ষার্থীর। প্রায় দেড় দশক পর ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হলো। আয়োজনটা উৎসবমুখর করতে তাই চেষ্টার কমতি রাখেনি কর্তৃপক্ষ। শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয়, প্রবাসে থাকা শিক্ষার্থীরাও হাজির হয়েছিলেন সেদিন।
আরও পড়ুন১৮০ জন ফুটবলারের অটোগ্রাফ আছে বাহারুলের কাছে১৮ ঘণ্টা আগেপরনে কালো গাউন, মাথায় টুপি। প্রিয় বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে চলছিল উষ্ণ অভ্যর্থনা ও হইহুল্লোড়। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল, ‘আছিস কেমন’, ‘কত দিন পর’, ‘দাড়িও রেখেছিস!’, ‘মোটা হয়েছিস’, ‘ছেলে–মেয়ে কয়টারে তোর.
মূল অনুষ্ঠান ছিল দুপুরে। অতিথি হিসেবে বিজয়–২৪ হলের মাঠে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
প্রায় দেড় দশক পর ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হলো, তাই আনন্দ ছিল একটু বেশিউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম
করোনার সময় বাবার ছোট্ট জুতার দোকানটাও যখন ছেড়ে দিতে হলো, তখন ঋণ, কিস্তি আর ধারকর্জের ফাঁদে পড়ে গেলাম আমরা। বগুড়ার গাবতলী সরকারি কলেজে ভর্তি হলাম। রোজ দেখতাম, কিস্তির টাকা নিতে বাড়িতে লোক আসত। শেষমেশ জমিজমাও গেল ঋণ শোধ করতে করতে।
বাবার বয়স হয়েছে। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল দাদা। সিএনজি চালানো শুরু করল। নানা খরচ মিটিয়ে দাদার হাতে আর কিছুই থাকত না। প্রতিবেশীরা বলত, ‘বোনকে বিয়ে দিচ্ছ না কেন?’ কিন্তু দাদা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, তাই আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়নি। একসময় দাদা ঠিক করল, বিদেশ যাবে। সিএনজি বিক্রি করে, ধারকর্জ করে টাকার জোগাড় হলো, কিন্তু সেই টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেল দালাল।
আরও পড়ুনভর্তি প্রস্তুতির অ্যাপ ‘চর্চা’ যেভাবে হাতে হাতে পৌঁছে গেল৪ ঘণ্টা আগেএত ঝক্কিঝামেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। এইউডব্লিউতে যখন পূর্ণবৃত্তিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম, মনে হয়েছিল আমাদের কষ্টের দিন বোধ হয় শেষ হলো।
রাধা মনি দাস