দুটি ডিমের খাঁচা উন্মোচন করল ২৪ বছর আগে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের রহস্য
Published: 7th, December 2025 GMT
২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস। কর্ণাটকের কোনানাকালু রিজার্ভ ফরেস্টে টহল দিচ্ছিলেন একজন বনরক্ষী। টহলের সময় তিনি জঙ্গলের ভেতর একজন পুরুষের লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক খবর দেন কর্তৃপক্ষকে।
এ ঘটনার প্রথম সূত্র পাওয়া যায় নিহত ব্যক্তির পকেট থেকে। সেখানে ছিল একটি পাসবুক আর একটি ফোন নম্বর। এগুলো দেখে ধারণা করা হয়, নিহত ব্যক্তি শিবামোগ্গার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু খুব দ্রুতই সেই সূত্র অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এরপর কেটে যায় বছরের পর বছর। কোনো ডিজিটাল তথ্য ছিল না। খুনিরা ব্যবহার করেছিলেন একটি এসটিডি ফোনবুথ আর ল্যান্ডলাইন। ফলে এ–সংক্রান্ত মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল।
প্রথম পাওয়া সূত্র অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর কেটে যায় বছরের পর বছর। কোনো ডিজিটাল তথ্য ছিল না। খুনিরা ব্যবহার করেছিলেন একটি এসটিডি ফোনবুথ আর ল্যান্ডলাইন। ফলে এ–সংক্রান্ত মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল।সময় এগিয়ে আসে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর। খুনের ওই ঘটনায় পুরোনো ফাইল আবার খোলা হয়। খতিয়ে দেখা হয় অন্তত ছয়টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা অনেকগুলো ফোনবুথের কল রেকর্ড। কর্ণাটক পুলিশের তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়েছেন।
ডিমের খাঁচার প্রতীকী ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষ
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর মধ্যে আবারো সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। শনিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের স্পিন বোলদাক শহর থেকে শুক্রবার রাতে বাসিন্দারা পালিয়ে যান। এই এলাকাটি দুই দেশের সীমান্তের ২ হাজার৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।
কান্দাহার শহরের একজন চিকিৎসা কর্মী বিবিসি পশতুকে জানিয়েছেন, স্থানীয় হাসপাতালে চারটি মৃতদেহ আনা হয়েছে। আরো চারজন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানে তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বিক্ষিপ্ত লড়াই চলছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারও পাকিস্তানকে দেশের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে।
উভয় পক্ষই জানিয়েছে, তারা শুক্রবার রাতভর গুলি বিনিময় করেছে। চার ঘন্টা ধরে চলা এই যুদ্ধের জন্য তারা একে অপরকে দায়ী করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি তালেবানদের ‘বিনা উস্কানিতে গুলি চালানোর’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
জাইদি বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাৎক্ষণিক, উপযুক্ত এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পাকিস্তান তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ সতর্ক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এদিকে, একজন তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তান ‘আবারো আক্রমণ শুরু করেছে।’ এ কারণে তারা ‘প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে।’
সীমান্তের আফগান দিকের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে গুলি বিনিময় শুরু হয়।
এলাকা থেকে প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক আফগান পায়ে হেঁটে এবং যানবাহনে পালিয়ে যাচ্ছে।
কান্দাহারের তথ্য বিভাগের প্রধান আলী মোহাম্মদ হকমাল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বাহিনী ‘হালকা ও ভারী কামান’ দিয়ে আক্রমণ করেছে এবং বেসামরিক বাড়িঘর মর্টার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ