আইএল টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকেই মোস্তাফিজ জাদু
Published: 7th, December 2025 GMT
দল জেতেনি। তবে বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর কাজটা করেন দারুণভাবে। কাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগ ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ।
অভিষেক ম্যাচেই বল হাতে ৪ ওভারে ২৬ দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। শুধু বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়েও ধরেছেন দুটি ক্যাচ। এরপরও তাঁর দল দুবাই ক্যাপিটালস ৪ উইকেটে হেরে গেছে গালফ জায়ান্টসের কাছে।
দুবাইয়ে আগে ব্যাটিং করে দুবাই ক্যাপিটালস তুলেছিল ১৬০ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে গালফ জায়ান্টস জিতেছে ৭ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে।
মোস্তাফিজ কাল উইকেট পেয়েছেন তাঁর করা প্রথম বলেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ফেরান গালফ ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। প্রথম ওভারে ১১ রান দেওয়া মোস্তাফিজ এরপর আবার আসেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে।
উইকেট পেতে পারতেন এই ওভারের শেষ বলেও। তাঁর বলে ক্যাচ তুলেছিলেন জেমস ভিন্স। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো ডেভিড উইলি ক্যাচ নিতে পারেননি, উল্টো বানিয়ে দেন চার। সেই ওভার থেকে আসে ১০ রান। আর সেই ভিন্সই পরে ফিফটি করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুনদেখে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের পূর্ণাঙ্গ সূচি৮ ঘণ্টা আগে১২তম ওভারে এসে মোস্তাফিজ আবারও ঝলক দেখান। মাত্র দুই রান দিয়ে তুলে নেন ফিফটি করা পাতুম নিশাঙ্কার উইকেট। এরপর ১৬তম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। প্রথম দুই ওভারে ২১ রান দেওয়া এই বাঁহাতি পেসার শেষ দুই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান।
মোস্তাফিজের স্পেল শেষ হওয়ার সময় গালফের দরকার ছিল ২৪ বলে ২৯ রান। সেই সমীকরণ তারা সহজেই মেলাতে পেরেছে। নিশাঙ্কা খেলেছেন ৩১ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস, হয়েছেন ম্যাচসেরা।
এবারের আসরে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস। আর গালফ জায়ান্টস দুটিই জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
আরও পড়ুনবিপিএল কি মিস করেন সালাহউদ্দীন১৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় আবার স্পিডবোটে এসে নদীসংলগ্ন স্বর্ণের দোকান, ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি
পাবনায় আবার স্পিডবোটে এসে নদীসংলগ্ন বাজার ও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, ডাকাত দল বাজারের পাঁচটি সোনার দোকান ও এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অন্তত ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং প্রায় এক কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে আছেন।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনাপাড়ের নাকালিয়া বাজারে একই কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এদিন ডাকাত দল বাজারের ৪টি দোকান থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
অষ্টমনিষা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রাত পৌনে দুইটার দিকে ১০–১৫ জনের একটি ডাকাত দল গুমানী নদী দিয়ে স্পিডবোটে এসে বাজারে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। কারও কারও হাতে দোকানের তালা কাটার যন্ত্র দেখা গেছে। তারা এসে প্রথমেই বাজারের দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এরপর দোকানের তালা ভেঙে পাঁচটি সোনার দোকান লুট করে। পরে বাজারের পার্শ্ববর্তী এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে। ডাকাত দল ওই বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর ও লুটপাট চালায়। পরে আরেক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়ে ভোর চারটার দিকে স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল। কিছুতেই তাদের প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল না। আতঙ্কে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন না।
তপন জুয়েলার্সের মালিক তপন কর্মকার বলেন, ‘আমার দোকানে বেশ কয়েক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিল। কত ভরি সোনা ছিল, তা–ও বলতে পারতেছিনে। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’
রতন জুয়েলার্সের মালিক রতন কর্মকারের দাবি, তাঁর দোকান থেকে ডাকাতেরা সোনা ও পাঁচ লাখ টাকা এবং তাঁর বাড়ি থেকে ১০ ভরি সোনা ও ১৫ লাখ টাকা লুট করে। এ ছাড়া মধু জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স ও আঁখি জুয়েলার্স থেকেও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করা হয়।
রতন কর্মকার জানান, ডাকাতেরা দোকানে লুটপাট শেষে তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। এরপর দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে জিম্মি করে মারধর শুরু করে। তিনি তিনতলায় গিয়ে লুকিয়ে কয়েকজন প্রতিবেশীকে ফোন দেন। কিন্তু অস্ত্রের ভয়ে কেউ আসেন না। এর মধ্যেই ডাকাতেরা তাঁর বাড়িতে লুটপাট চালায়।
ব্যবসায়ী দীপক কর্মকার জানান, ডাকাতেরা তাঁর বাড়িতেও ডাকাতির চেষ্টা করে। তবে ভেতরে কোনোভাবেই ঢুকতে না পেরে পরে চলে যায়।
আরও পড়ুনপাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা২৫ নভেম্বর ২০২৫ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টির তদন্তে থানা–পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কাজ শুরু করেছে। দ্রুত ডাকাত দলকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।