মহাসড়কে জব্দের পর ১৪ হাজার লিটার তেল আত্মসাতের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
Published: 7th, December 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান আদর্শ গ্রুপের ১৩ হাজার ৯৫০ লিটার পাম তেল জব্দের পর তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। জব্দ করা তেলের দাম ২৩ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টাকা।
গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান আদর্শ গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই তেল অন্য একটি মামলার চোরাই পণ্য হিসেবে জব্দ করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা আদালতই যাচাই করবে।
সাদিকুল ইসলামের অভিযোগ, গত ২১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে তাঁদের নিজস্ব ট্রাকে ১৩ হাজার ৯৫০ লিটার (৭৫ ড্রাম) পাম তেল চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনা হচ্ছিল। পথে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকায় রায়গঞ্জ থানা-পুলিশ ট্রাকসহ তেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ওসি মাসুদ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মালামালের প্রমাণপত্র দিতে বলেন। পরে ক্রয়কৃত মালামালের মেমোর ফটোকপি থানায় জমা দেওয়া হয়, তবে ওসি তা বিবেচনায় নেননি। পরে তিনি জানান, আদালতের মাধ্যমে ট্রাক ও তেল ফেরত নিতে হবে।
সাদিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের আদালতে গিয়ে জানতে পারি ট্রাকটি অন্য একটি মামলায় জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকে থাকা পাম তেল কোথাও জব্দ তালিকায় নেই।’ তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর রায়গঞ্জ থানার ওসি মাসুদ রানা ও এসআই ফিরোজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তেল ও ট্রাক আত্মসাতের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের আমলি আদালতে মামলা করা হয়েছে। ট্রাকটি যমুনা সেতুর টোল প্লাজা পার হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ তাঁর কাছে আছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রায়গঞ্জ থানার ওসি (সদ্য বদলি) কে এম মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ট্রাকে যে তেল পাওয়া গেছে, তা একটি চোরাই গোডাউন থেকে লোড করা হয়েছে। পুলিশ তেলসহ ট্রাকটি জব্দ করে আদালতে জমা দিয়েছে। এখন আদালতই সত্য-মিথ্যা যাচাই করবে।
একই দাবি করেছেন রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাম তেল আত্মসাতের অভিযোগ অবান্তর। তেল আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। অন্য একটি ডাকাতি মামলার তেল একটি চোরাই গুদাম থেকে লোড করা হয়েছিল। তা জব্দ দেখিয়ে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এভাবে রাস্তায় মালামাল জব্দ করে আত্মসাতের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয়ভীতি তৈরি হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ স র জগঞ জ র র য়গঞ জ থ ন ল ইসল ম ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সূচকের পতন, ডিএসইতে ২শ কোটির ঘরে লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমে দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। তবে সিএসইতে টাকার পরিমানে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৪০ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৭৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ৫.৫১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১০ কোম্পানির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২.৫৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৩৬ পয়েন্ট কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ০.৭১ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৭ কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।
সিএসইতে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি//