নব্বইয়ের দশকে বলিউডের আলোচিত তারকা জুটি ছিলেন অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠি। পর্দার বাইরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’। এই তারকা জুটিকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত বিভিন্ন জায়গায়। তাঁদের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে তাঁদের দুজনের পরিবারও তা জানত, শেষ পর্যন্ত তা বিয়ের কথাবার্তায় গড়ায়। তিনি বাধ সাধে শিল্পা শেঠির পরিবার। তারা যে শর্ত দেয়, তার কারণেই বিচ্ছেদ হয় আলোচিত এই জুটির। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খোলেন অক্ষয়ের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সুনীল দর্শন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি শিল্পা শেঠি ও অক্ষয় কুমারের সম্পর্কের এক অজানা দিক নিয়ে কথা বলেন। বলিউড ঠিকানায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান, তাঁরা ছিলেন সবচেয়ে ‘সুদর্শন জুটি’, কিন্তু ভাগ্যের ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল তাঁদের নিয়ে

অক্ষয় কুমার আমাকে ব্যবহার করেছে, তারপর সুবিধামতো ফেলে দিয়েছে, যখন টুইঙ্কেলের প্রেমে পড়েছে। একমাত্র ওর ওপরই আমার রাগ ছিল। তবে আমি নিশ্চিত, ও একদিন সবকিছুর প্রতিদান পাবে। অতীতকে ভুলে যাওয়া সহজ নয়, কিন্তু আমি খুশি যে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছি। আজ ও আমার জীবনের এক বিস্মৃত অধ্যায়। আমি আর কখনো ওর সঙ্গে কাজ করব না।শিল্পা শেঠি

জ্যোতিষীর যে ভবিষ্যদ্বাণী
সুনীল দর্শন বলেন, তিনি আগে শুনেছিলেন যে টুইঙ্কেল খান্নার বাবা রাজেশ খান্নার ঘনিষ্ঠ একজন জ্যোতিষী অক্ষয় ও টুইঙ্কেলের বিয়ে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে সুনীল বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে তাঁদের একে অন্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে দেখুন, শিল্পার মা–বাবা যদি এই শর্ত না রাখতেন, তাহলে তাঁদের জীবন অন্য রকম মোড় নিত।’

কী ছিল শিল্পার মা-বাবার শর্ত
শিল্পা শেঠির মা-বাবার দেওয়া শর্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সুনীল বলেন, ‘মা–বাবা হিসেবে, তাঁদের মেয়ের নিরাপত্তার জন্য মা–বাবার যা কিছু প্রয়োজন, সেটাই তাঁরা চেয়েছিলেন। এটা কোনো ভুল নয়।’ সুনীলের কাছে তখন জানতে চাওয়া হয়, তিনি আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলছেন কি না? উত্তরে এই পরিচালক বলেন, ‘সব ধরনের নিরাপত্তাই, সব মা-বাবা এটা চান।’

সিনেমার দৃশ্যে অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠি। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সূচকের পতন, ডিএসইতে ২শ কোটির ঘরে লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমে দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। তবে সিএসইতে টাকার পরিমানে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। 

এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৪০ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৭৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ৫.৫১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১০ কোম্পানির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২.৫৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৩৬ পয়েন্ট কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ০.৭১ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৭ কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।

সিএসইতে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি//

সম্পর্কিত নিবন্ধ