১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম
Published: 7th, December 2025 GMT
করোনার সময় বাবার ছোট্ট জুতার দোকানটাও যখন ছেড়ে দিতে হলো, তখন ঋণ, কিস্তি আর ধারকর্জের ফাঁদে পড়ে গেলাম আমরা। বগুড়ার গাবতলী সরকারি কলেজে ভর্তি হলাম। রোজ দেখতাম, কিস্তির টাকা নিতে বাড়িতে লোক আসত। শেষমেশ জমিজমাও গেল ঋণ শোধ করতে করতে।
বাবার বয়স হয়েছে। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল দাদা। সিএনজি চালানো শুরু করল। নানা খরচ মিটিয়ে দাদার হাতে আর কিছুই থাকত না। প্রতিবেশীরা বলত, ‘বোনকে বিয়ে দিচ্ছ না কেন?’ কিন্তু দাদা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, তাই আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়নি। একসময় দাদা ঠিক করল, বিদেশ যাবে। সিএনজি বিক্রি করে, ধারকর্জ করে টাকার জোগাড় হলো, কিন্তু সেই টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেল দালাল।
আরও পড়ুনভর্তি প্রস্তুতির অ্যাপ ‘চর্চা’ যেভাবে হাতে হাতে পৌঁছে গেল৪ ঘণ্টা আগেএত ঝক্কিঝামেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। এইউডব্লিউতে যখন পূর্ণবৃত্তিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম, মনে হয়েছিল আমাদের কষ্টের দিন বোধ হয় শেষ হলো।
রাধা মনি দাস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম
করোনার সময় বাবার ছোট্ট জুতার দোকানটাও যখন ছেড়ে দিতে হলো, তখন ঋণ, কিস্তি আর ধারকর্জের ফাঁদে পড়ে গেলাম আমরা। বগুড়ার গাবতলী সরকারি কলেজে ভর্তি হলাম। রোজ দেখতাম, কিস্তির টাকা নিতে বাড়িতে লোক আসত। শেষমেশ জমিজমাও গেল ঋণ শোধ করতে করতে।
বাবার বয়স হয়েছে। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল দাদা। সিএনজি চালানো শুরু করল। নানা খরচ মিটিয়ে দাদার হাতে আর কিছুই থাকত না। প্রতিবেশীরা বলত, ‘বোনকে বিয়ে দিচ্ছ না কেন?’ কিন্তু দাদা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, তাই আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়নি। একসময় দাদা ঠিক করল, বিদেশ যাবে। সিএনজি বিক্রি করে, ধারকর্জ করে টাকার জোগাড় হলো, কিন্তু সেই টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেল দালাল।
আরও পড়ুনভর্তি প্রস্তুতির অ্যাপ ‘চর্চা’ যেভাবে হাতে হাতে পৌঁছে গেল৪ ঘণ্টা আগেএত ঝক্কিঝামেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। এইউডব্লিউতে যখন পূর্ণবৃত্তিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম, মনে হয়েছিল আমাদের কষ্টের দিন বোধ হয় শেষ হলো।
রাধা মনি দাস