ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত টাঙ্গাইল শাড়ি
Published: 7th, December 2025 GMT
ঢাকা থেকে অল্প দূরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কারখানায় তাঁতের তালে তালে তাঁতিদের হাতের কাজের শব্দ ভেসে আসে। তাঁতিরা রঙিন সিল্ক ও কটন থ্রেড ব্যবহার করে বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ি বুনে থাকেন।
এ হ্যান্ডলুম শাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে জেলাটির নামে, যেখানে শত শত তাঁতি পরিবার বসবাস করে। এ শাড়ি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে পরিচিত এবং উৎসব ও বিয়ের অনুষ্ঠানে সমগ্র ভারত উপমহাদেশেই ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুনটাঙ্গাইল শাড়ি কীভাবে ভারতের হয়০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪শতাব্দীপ্রাচীন এ ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বুননের শিল্পকে এ বছর ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
প্রতিটি শাড়ি তৈরি হয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সংমিশ্রণে। তাতে থাকে স্থানীয় সংস্কৃতি থেকে উদ্ভূত নান্দনিক নকশা ও জটিল ভাব বা সুর। সাধারণত পুরুষেরা থ্রেড রাঙান, কাপড় বুনে নকশা তৈরি করেন। নারীরা চরকিতে সুতা ঘুরিয়ে সহায়তা করেন।প্রতিটি শাড়ি তৈরি হয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সংমিশ্রণে। তাতে থাকে স্থানীয় সংস্কৃতি থেকে উদ্ভূত নান্দনিক নকশা ও জটিল ভাব বা সুর। সাধারণত পুরুষেরা থ্রেড রাঙান, কাপড় বুনে নকশা তৈরি করেন। নারীরা চরকিতে সুতা ঘুরিয়ে সহায়তা করেন।
তবে কাঁচামালের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং সস্তা ও মেশিনে বোনা কাপড়ের কারণে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁত পেশা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ কমছে। তাঁতিরা আশা করছেন, ইউনেসকোর স্বীকৃতি ও ঐতিহ্যের মর্যাদা পেলে তাঁদের এ কারুশিল্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণে সহায়তা করবে।টাঙ্গাইল শাড়ি শুধু সাংস্কৃতিক প্রতীক নয়, এটি শত শত তাঁতি পরিবারের জীবিকা নির্বাহেরও উৎস।
শাড়ির বোনায় ব্যস্ত এক তাঁতি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সূচকের পতন, ডিএসইতে ২শ কোটির ঘরে লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমে দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। তবে সিএসইতে টাকার পরিমানে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৪০ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৭৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ৫.৫১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১০ কোম্পানির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২.৫৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৩৬ পয়েন্ট কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ০.৭১ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৭ কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।
সিএসইতে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি//