লাখো শরণার্থীর অনিশ্চিত যাত্রা
Published: 7th, December 2025 GMT
‘১৯ এপ্রিল ৮-১০ জনের কাফেলায় রওনা হই। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে হাঁটছি তো হাঁটছি। বাচ্চারা খুব কষ্ট পাচ্ছে। রাত কত জানি না, চারদিক নিস্তব্ধ। কোন দিকে বর্ডার, তা-ও জানি না। কিছু দূর যাওয়ার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামে।’—বাংলা সিনেমার স্বনামধন্য অভিনেত্রী কবরীর লেখা।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রুপালি পর্দার সে সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা হয়ে যান শরণার্থী। প্রাণ বাঁচাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বহু পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছান। এরপর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে মুম্বাইয়ে কাটে ‘অনাহারক্লিষ্ট কর্মহীন, জীবন-মরণ লড়াইয়ে নামা’ শরণার্থীজীবন। সেই অনিশ্চিত যাত্রা, জীবনের কথা লিখেছেন আত্মজীবনী স্মৃতিটুকু থাক বইয়ে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শুরু হয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সার্চলাইট’। চলে নির্বিচার হত্যা-বর্বরতা। প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নিজের ঘরবাড়ি-বসতি ছাড়েন। দেশের নানা প্রান্তে তখন দেখা যায় মানুষের ছোট-বড় কাফেলা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তাঁরা অজানা-অচেনা পথে চলেছেন। সেখানে কবরীর মতো পরিচিত মুখ যেমন আছেন; আছেন কৃষক-শ্রমিক, নারী-শিশুসহ নানা এলাকার, নানা পেশার মানুষ।
চলতি পথে অনেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন, অনেককে গুলি করে হত্যা করা হয়, কেউ কেউ হামলার মুখে পড়ে স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কারও কারও সামনে প্রিয়জনকে হত্যা করা হয়, কেউ কেউ যাত্রার ধকল সইতে না পেরে পথে মারা যান। বাকিরা পথ চলতে থাকেন।
শরণার্থী হওয়ার যাত্রায় শিশুটি সঙ্গে নিয়েছিল দেশের পতাকা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শরণ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
কোহিনূর কেমিক্যালের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
দেশের স্বনামধন্য প্রসাধনী প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল করিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মো. এবাদুল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও জনাব কাজী মামুনুল আশরাফ, কোম্পানি সচিব মো. কামরুজ্জামান, এফসিএমএ এবং সিএফও জনাব মো. শামীম কবির।
সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমের উপর আলোচনা করা হয় এবং আলোচ্যসূচিসমূহ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৬৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
ঢাকা/তারা//