ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে পয়েন্ট হারিয়েছে আর্সেনাল, লিভারপুল ও চেলসি। তবে তিন জায়ান্টের পয়েন্ট হারানোর রাতে দারুণ জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাতে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমে হয়েছে মাত্র ২!

আর্সেনালকে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চমকে দিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। অন্যদিকে লিভারপুল ৩-৩ গোলে ড্র করেছে লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে। আর চেলসি গোলশূন্য ড্র করেছে বোর্নেমাউথের সঙ্গে। তবে ম্যানচেস্টার সিটি ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সান্ডারল্যান্ডকে। তাতে ১৫ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সমান ম্যাচ থেকে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল আছে শীর্ষে। ১৫ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি চতুর্থ ও ২৩ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে অষ্টম স্থানে।

আরো পড়ুন:

ঘরের মাঠে লেভারকুসেনে ধরাশায়ী ম্যানসিটি

নিউক্যাসলে ধরাশায়ী ম্যানসিটি

ঘরের মাঠে গোল পেতে কিছুটা সময় নেয় ম্যানসিটি। ৩১ মিনিটের মাথায় আসে প্রথম গোল। এ সময় রায়ান চেরকির বাড়ানো বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান রুবেন দিয়াস। ৩৫ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্কাই ব্লুজরা। এ সময় কর্নার পায় ম্যানসিটি। কর্নার থেকে ফিল ফোডেনের উড়িয়ে মারা বলে খুব কাছ থেকে হেড দিয়ে জালে জড়ান জোস্কো গভার্দিওল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জেরেমি ডকুর নেওয়া দারুণ একটি শট সান্ডারল্যান্ডের গোলরক্ষক রুখে দিলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

বিরতির পর ৫২ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন ফিল ফোডেন। কিন্তু সেটা রুখে দেয় সান্ডারল্যান্ডের রক্ষণভাগ। তবে ৬৫ মিনিটে ফোডেন তার কাঙ্খিত গোলে ব্যবধান ৩-০ করেন। তাকে গোলে সহায়তা করেন রায়ান চেরকি। বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। আর জিততে আর গোলের প্রয়োজনও হয়নি ম্যানচেস্টার সিটির।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর স ন ল ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিদিন ছয় কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতাম

খাগড়াছড়ির এক ছোট্ট গ্রামে আমার জন্ম। আমার বেড়ে ওঠার কথা ছিল সিলেটে, দাদাবাড়িতে। কিন্তু সেখানে বাড়তি থাকার জায়গা না হওয়ায় মা-বাবা আমাকে নিয়ে নানাবাড়ি চলে আসেন। বাবার দিনমজুরি আর মায়ের সেলাইয়ের সামান্য আয়ে চলে আমাদের সংসার।

সাত বছর বয়সে গ্রামের একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলাম। কুপিবাতির আলোয় পড়তাম। সব সময় ক্লাসে ফার্স্ট হতাম, কিন্তু অন্য অভিভাবকদের মতো মা-বাবা কোনো দিন আমার রেজাল্ট জানতে মাদ্রাসায় যাননি।

আরও পড়ুন১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম৫ ঘণ্টা আগে

আত্মীয়-পড়শিরা বলত, ‘কয়েক ক্লাস পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দাও।’ কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল আরও বড়। জেদ করায় মা-বাবা স্কুলে ভর্তি করাতে রাজি হন। কিন্তু শর্ত ছিল—উপজেলার সেরা স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে হবে। হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমি নবম হয়ে ভর্তি হই।

প্রতিদিন ছয় কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতাম। কোনো দিন প্রাইভেট পড়তে পারিনি। ছোট বাচ্চাদের পড়িয়ে সামান্য আয় হতো, সেটা দিয়ে বই কিনেছি। মাধ্যমিকে ভালো ফল করায় পরের ধাপটা কিছুটা সহজ হলেও ঋণ করে কলেজে ভর্তি হতে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারব কোনো দিন ভাবিনি। শেষ চেষ্টা হিসেবে এইউডব্লিউতে ভর্তি পরীক্ষা দিই—পেয়ে যাই পূর্ণবৃত্তি। আজও অনেকে বলে, ‘আর পড়ালেখার দরকার নেই।’ মা-বাবার অনিয়মিত আয়ে চলছে আমাদের তিন ভাই–বোনের জীবন। ছোট ভাইটিকে সুন্দর ভবিষ্যৎ দিতে চাই। চাই আমার পরিবার মাথা উঁচু করে চলুক।

আরও পড়ুনঘরবাড়ি, বইখাতা সব ডুবে গেল বন্যায়৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ