পরিচয় জানতে ১১৪ জুলাই শহীদের মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু
Published: 7th, December 2025 GMT
‘আমার ছেলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিতে ১৮ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এরপর যাত্রাবাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়েছে সে। আজও লাশটা খুঁজে পাইনি। অনেক খুঁজেছি, পাইনি। আমি ছেলের লাশটা অন্তত চাই।’
রাশেদা বেগম নামের এই মা বলেন, তাঁর ছেলের নাম সোহেল রানা। অভ্যুত্থানের পর থেকে ছেলের কোনো খোঁজ পাননি তিনি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে এই ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেখানেই এসেছিলেন রাশেদা বেগম। এ কার্যক্রমে ঢাকা জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সহযোগিতা করছে।
মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরুর আগে রায়েরবাজার কবরস্থানে কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো.
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকেরা এ কার্যক্রমে অংশ নেন। শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনজুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাত ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে লাশ তোলা হবে কাল১৯ ঘণ্টা আগেসরেজমিন দেখা যায়, রায়েরবাজার কবরস্থানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের গণকবর এলাকাটি সাদা কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। পাশেই অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিবারের সদস্যরা ঢুকতে পারছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া স্বজনের ছবি হাতে এসেছেন পরিবারের সদস্যরা। রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ন র পর ১১৪ জ
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে মাসুদুজ্জামানের দোয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় মাসুদুজ্জামানের আয়োজনে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জুম্মার নামাজ আদায় ও দোয়ায় অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী মাসুদুজ্জামান।
জুম্মার নামাজ শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা, দেশের কল্যাণ, জাতির শান্তি–সমৃদ্ধি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অগ্রযাত্রার জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মসজিদে উপস্থিত স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, সাধারণ মানুষ, মসজিদ কমিটির সদস্য এবং বিএনপি–সমর্থিত নেতৃবৃন্দও এতে অংশ নেন।
দোয়া শেষে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ গুরুতর অসুস্থ। তাঁর দ্রুত আরোগ্য, সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনায় আমরা জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন জাতীয় নেতা নন; তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতীক।
আল্লাহর কাছে আমরা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করি—তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও দেশের জনগণের কল্যাণে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হন। জনগণের এই ভালোবাসা ও দোয়া নিশ্চয়ই আল্লাহ কবুল করবেন।”
মাসুদুজ্জামান মাসুদের সঙ্গে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য; হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, কৃষকদলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিএনপির মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ কৃষকদল, যুবদল, মহিলাদল এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে দোয়া মাহফিলকে আরও মর্যাদাপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত করে তুলেছেন।
স্থানীয়দের মতে, এই আয়োজন কোনো রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একজন অসুস্থ জাতীয় নেত্রীর প্রতি জনগণের গভীর শ্রদ্ধা, অন্তরঙ্গ ভালোবাসা এবং মানবিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ। তারা জানান, দেশের প্রতিটি মানুষ, দলমত নির্বিশেষে, বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় একতাবদ্ধভাবে প্রার্থনা করছে।
বিশেষ করে মাসুদুজ্জামান-এর মতো নেতাদের সরাসরি অংশগ্রহণ এই অনুষ্ঠানটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ ও হৃদয়স্পর্শী করে তুলেছে। জুম্মার নামাজ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়ার পরে মাসুদুজ্জামান মাসুদ মাসদাইর কবরস্থানে গিয়ে তাঁর প্রয়াত বাবা-মায়ের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন।