একটি দল ক্ষমতায় যেতে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবে: ইছাহাক
Published: 7th, December 2025 GMT
ফরিদপুর-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী ইছাহাক চোকদার বলেছেন, “আমরা স্বাধীন হয়েও স্বাধীনতা বঞ্চিত ছিলাম। এবার সুযোগ এসেছে পূর্ণ স্বাধীনতার। ন্যায় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ইসলাম কায়েম করার। বাংলাদেশের মানুষ চায় ইসলামী দল ক্ষমতায় আসুক।”
তিনি বলেন, “একটি দল নিজেরা নিজেরা দলাদলি ও মারামারি করে নিজেদের প্রভাব দেখাতে চাইছে। তারা আগে ক্ষমতায় ছিল তখন ফ্যাসিস্টদের মতো লুটপাট দুর্নীতি করেছে। তারা ক্ষমতায় যেতে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবে। আমরা তা হতে দেব না।”
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইছাহাক চোকদার বলেন, “আমরা প্রতিটি কেন্দ্র পাহারা দেব। কাউকে নির্বাচনে সহিংসতা, কারচুপি করতে দেব না। এজন্য যদি রক্ত দিতে হয়, তার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।”
নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, “আমাদের নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রতিটি মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের নিয়ে যেন কোনো ভুল বুঝাবুঝি বা মিথ্যা অপপ্রচার না চালানো হয় তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়ন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবেশে দলটির ইউনিয়ন সভাপতি হাজী দলিল উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ইসলামি আন্দোলনের ভাঙ্গা উপজেলার সভাপতি আব্দুল হান্নান মাতুব্বর, সহ-সভাপতি মো.
ইসলামী আট দলীয় ঐক্যর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে এসে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াত ইসলামের প্রার্থী সরোয়ার হোসেন ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মিজানুর রহমান।
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত য় ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতন্ত্র থেকে বের হতে পারিনি: ইফতেখারুজ্জামান
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘আশা ছিল যে জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের আদিবাসী মানুষেরা আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু আমরা সেদিকে যেতে পারিনি। সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনির্মাণ করা যায়নি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি।’
মানবাধিকার সংগঠন কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের আদিবাসীদের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে এক কর্মশালায় এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। আজ রোববার রাজধানীর আসাদগেটের ওয়াইডব্লিউসিএ ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ইফতেখারুজ্জামান আজকের কর্মশালায় বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন, প্রধান উপদেষ্টার ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার প্রভৃতি অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। কিন্তু এক বছরের বেশি সময়ের পরও ওই কার্যালয়ের কোনো সুফল জনসাধারণ পেয়েছে কি না, তা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, রাষ্ট্র আদিবাসী শব্দটি বলতে চায় না। কেননা আদিবাসী বললে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। যদি সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি এবং আইএলও ১০৭ ও অনুস্বাক্ষর করা হয়, তবু আদিবাসীদের অধিকার অর্জিত হবে না। কারণ, আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে আঘাত আসবে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কোনো জনগোষ্ঠীকে যুগ যুগ ধরে নির্যাতন চালিয়ে, শাসন করে দমিয়ে রাখা যায় না। পাহাড় এবং সমতলের আদিবাসী মানুষের অধিকারের আন্দোলন দেশের সমগ্র মানুষের আন্দোলন। সেই আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালায় ফ্রান্স দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কো-অপারেশন বিভাগের এমিলি পালাউন বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী আদিবাসীরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। তারা তাদের ভূমি, সংস্কৃতি ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার রক্ষা করতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী ভূমি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মারাত্মক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষভাবে সমস্যার শিকার আদিবাসী নারীরা।
কাপেং ফাউন্ডেশনের অ্যাডভোকেসি অফিসার হ্লা¤রাচিং চৌধুরীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারপারসন গৌরাঙ্গ পাত্র।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা বলেন, কাপেং ফাউন্ডেশন প্রতিবছর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।
কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা