রাবিপ্রবিতে পাহাড় কাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা
Published: 7th, December 2025 GMT
অনুমোদন ছাড়াই পাহাড় কাটার ঘটনায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) স্থাপন প্রকল্পের পরিচালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) কোতয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মুমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন তৈরির জন্য পাহাড় কাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনুমোদন চেয়েছে। কিন্তু, তারা অনুমোদন পাওয়ার আগেই পাহাড় কাটা শুরু করে এবং যে পরিমাণ পাহাড় কাটার কথা বলেছেন, তার চেয়েও বেশি পাহাড় ইতোমধ্যে কেটে ফেলেছেন। সেজন্য প্রকল্প পরিচালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাটার প্রস্তাব করলে, তাদের একটি বিস্তারিত পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন রিপোর্ট জমা দিতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর সেই রিপোর্ট যাচাই করে, জনশুনানি করে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পাহাড় কাটার যৌক্তিকতা ও পরিবেশগত ঝুঁকি মূল্যায়ন করে। যদি সবদিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়, তবে নির্দিষ্ট শর্তসহ ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু, তারা ছাড়পত্র দেওয়ার আগেই পাহাড় কেটেছে।
রাঙামাটির কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, প্রকল্প পরিচালক, শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঠিকাদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাটি তদন্ত করছে।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে একটি প্রশাসনিক, একটি একাডেমিক ভবন এবং দুটি আবাসিক হল।
ঢাকা/শংকর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকল্প পরিচালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
অনুমোদনের আগে এবং অতিরিক্ত পাহাড় কাটার কারণে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল গফুরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাঙামাটি পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে অনুমোদনের আগে এবং অতিরিক্ত মাটি কাটার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
রাঙামাটি আসামবস্তি সংযোগ সড়কের ঝগড়াবিল এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। এখানে চলছে পাহাড় কেটে চারটি ভবনের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে রয়েছে একটি করে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন এবং দুটি আবাসিক হল।
সব কটি ভবন তিনতলাবিশিষ্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান।
গত ২৫ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুনরাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভবন নির্মাণের জন্য চলছে পাহাড় কাটা২৫ নভেম্বর ২০২৫প্রতিবেদন প্রকাশের পর উচ্চ আদালতে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিট শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি এবং বিচারপতি রাজি উদ্দিন আহমেদের আদালত গত বুধবার শুনানি শেষে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাঙামাটিতে কেউ যাতে পাহাড় কাটতে না পারে, সে জন্য মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।