পরিবারে আমরা সাতজন—মা–বাবা আর পাঁচ বোন। বড়দিদির বিয়ে হয়ে যায় ১৩ বছর বয়সে। সেই থেকে ইপিজেডে (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) কাজ করে সংসার চালায় আমার মেজদিদি। কখনো কৃষিকাজ, কখনো জুতা পোলিশ—বাবা যখন যা কাজ পেতেন, তা-ই করতেন। এখন অসুস্থ, আয়ও নেই। কত দিন যে আমাদের না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। মা সব সামলান। ছোট তিন বোন পড়ালেখা করে। কোনোমতে চলে যায়।

ছোটবেলা থেকেই একটার পর একটা বাধা পেরোতে হয়েছে। প্রবল ঝড়ে টিনের ঘরটা একবার ভেঙে গেল। সেবার অবশ্য সরকারি ঘর পেয়েছিলাম। বন্যায় একবার ঘরবাড়ি, বইখাতা সব ডুবে গেল। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার করে বই কিনতে হলো। আরেকবার ফরম পূরণের টাকা না থাকায় পড়ালেখা বন্ধ হতে যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম২ ঘণ্টা আগে

ভাগ্যিস, হেড ম্যাডাম কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন! জেএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলাম, ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলাম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে বই ও সনদও পেয়েছিলাম—এসব কারণেই হয়তো আমার প্রতি সবার বেশ সমর্থন ছিল।

মমতা রানী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেন্ট মার্টিনে শুঁটকিপল্লি

২ / ১০ঝুড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুঁটকি

সম্পর্কিত নিবন্ধ