সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমে দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। তবে সিএসইতে টাকার পরিমানে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। 

এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৪০ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩.

৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৭৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ৫.৫১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১০ কোম্পানির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২.৫৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৩৬ পয়েন্ট কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ০.৭১ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৭ কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।

সিএসইতে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ল নদ ন শ ড এসইত ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২.৭৯ শতাংশ

‎দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২.৭৯ শতাংশ।

‎শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‎তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৮.৯৫ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৮.৭০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.২৫ পয়েন্ট বা ২.৭৯ শতাংশ।

‎এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (১৬ থেকে ২০ নভেম্বর) পিই রেশিও ছিল ৮.৭০ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৮.৯৫ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২৫ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩.২৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৪.৩৮ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.০৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৯১০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ৯.৬৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১০.৪৯ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭৩ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১১.২৬ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১২.৫৩ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৪ পয়েন্টে,  টেলিযোগাযোগ খাতে ১৩.২৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৩.৩৬ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৪.৭৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৫.২৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৫.৯০ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৯৯ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.৬৩ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৬০.৪৪ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৮১.৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিএসইর শরিয়াহ সূচক সমন্বয়
  • সূচকের পতন, ডিএসইতে ২০০ কোটির ঘরে লেনদেন
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে জিলবাংলা সুগার মিলস
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২.৭৯ শতাংশ