Prothomalo:
2025-12-07@16:15:43 GMT

চিরচেনা ছবির হারানো নায়কেরা

Published: 7th, December 2025 GMT

শত্রুবাহিনীর শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারছেন এক কিশোর। তাঁর ডান পাশে রাইফেল তাক করে স্থির বসে আছেন আরও দুজন। তাঁদের বুকে তুষের মতো বদলা নেওয়ার আগুন। আর চোখে পরাধীন দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়। অসম সাহসী এই কিশোরদের পেছনে বিস্তীর্ণ ব্রহ্মপুত্র নদ আর তার পেছনে বিশাল আকাশ। ডিসেম্বর মাস বলে ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা শুকিয়ে এসেছে। নদের ওপারে যে গ্রামটা, তা একটা রেখার মতো মিশে গেছে অসীমায়। এত এলিমেন্টের মধ্যেও কিন্তু ছবির মূল ফোকাস এই তিন কিশোর। তাঁরা যে ঝোপের আড়াল থেকে গ্রেনেড ছুড়ে মারছেন, তার ডান পাশে একটা বরুণগাছ। শত্রুপক্ষের পাল্টা আক্রমণ এলে এই গাছটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে লড়াইটা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাঙালি মানসে এই দৃশটি একটি চিরচেনা আলোকচিত্র। বহু মাধ্যমে বহুল ব্যবহারের ফলে এই ছবির নির্মাতা যে নাইব উদ্দিন আহমেদ, তা অনেকেরই জানা। কিন্তু চিরচেনা এই ছবির নায়কদের কথা তেমন কেউ জানে না।

আমি বহুদিন ধরে চেষ্টা করছি এই ছবির নায়কদের খুঁজে বের করতে। অনেক বছর আগে কে যেন আমাকে বলেছিলেন, এই কিশোরদের বাড়ি টাঙ্গাইল অঞ্চলে এখন আর তাঁর নামটা মনে করতে পারি না। ৮ নভেম্বর রাত ১১টা ২৪ মিনিটে আমার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারটা টুং করে বেজে উঠল। নির্মাতা শরীফ রেজা মাহমুদ লিখেছেন, ‘এই তিন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আবদুল খালেক, আবদুল মজিদ ও মজিবর রহমান। তঁদের বাড়ির টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মুশুরিয়া গ্রামে।’ খালেক ও মজিদের ফোন নম্বর দিয়ে শরীফ জানালেন মজিবর মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। শরীফ এই তথ্যগুলো পেয়েছেন শেরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ মো.

নূরুল ইসলাম হিরোর কাছে। শরীফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমি পেয়ে যাই এই ঐতিহাসিক ছবির হারানো নায়কদের।

ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে। ৩ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্রবাহিনী পাকিস্তানি হানাদারদের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করল। ওই দিনই মিত্রবাহিনীর সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেন এই তিন বীর।মুক্তিযুদ্ধের সেই চিরচেনা ছবি [ময়মনসিংহ, ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১]। আলোকচিত্র: নাইব উদ্দিন আহমেদ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড স ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালে পাঁচতলা থেকে পড়ে মো. রাসেল (২৫) নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা এলাকায় জামিয়া আহমাদিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার ভবন থেকে পড়ে যান তিনি। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রাসেল মিয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শালুয়াদী গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার সিঅ্যান্ডবি মোড়ের কাছে ভাড়া বাসায় থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

রাসেলের বাবা দুলাল মিয়া জানিয়েছেন, তার ছেলে আরো পাঁচজন শ্রমিকের সঙ্গে ঠিকাদার রফিকের অধীনে কাজ করছিলেন। হঠাৎ নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বাঁশের মাচা ভেঙে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন রাসেল। সহকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।ঠি

কাদার মো. রফিক বলেছেন, “অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে রাসেলও কাজ করছিল। হঠাৎ মাচা ভেঙে পড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি হুসাইন আহমাদ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল ইসলাম বলেছেন, নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা থানায় এসেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাদের দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে: তারেক রহমান 
  • গাজীপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
  • দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে তাদের দেখেছে: তারেক
  • ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর বাংলাদেশ প্রীতি
  • আজ শত্রুমুক্ত ফেনীতে প্রথম উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা
  • অপারেশন ওমেগা: অবৈধ সীমানায় বৈপ্লবিক মানবিকতা
  • মোড় ঘোরানো দুই দিনের সম্মেলন শিলিগুড়িতে 
  • মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি করেছিলেন ‘অঁদ্রে মালবো’
  • পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে, মুক্তিকামীদের উল্লাস