আফ্রিকার দেশ বেনিনের একদল সেনাসদস্য দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালোনকে উৎখাত করার দাবি করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এসে এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। তবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলেছে, তালোন নিরাপদ আছেন।

১০ বছর ধরে বেনিনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যাট্রিস তালোন। আগামী এপ্রিলে তাঁর ক্ষমতা ছাড়ার কথা।

আজ একদল সেনাসদস্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হয়ে বলেন, তাঁরা একত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে প্যাট্রিস তালোন আর দেশের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না। ওই সেনাদল নিজেদের মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন (সিএমআর) হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।

এরই মধ্যে আজ একদল সেনাসদস্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হয়ে বলেন, তাঁরা একত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্যাট্রিস তালোন আর দেশের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না। সেনাদলটি নিজেদের মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন (সিএমআর) হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।

এর কিছুক্ষণ পরই বেনিনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় দাবি করেছে, প্যাট্রিস তালোন নিরাপদে আছেন এবং সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করছে।

আরও পড়ুনগিনি-বিসাউয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার২৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এএফপিকে বলা হয়েছে, ‘গুটিকয় মানুষের ছোট দলটি শুধু টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছেন। শহর ও দেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: একদল স ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ ভিন্ন সুরে কথা বলছে: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যাঁরা এত দিন নির্বাচন নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে তুলেছিলেন, এখন তাঁরা কেউ কেউ ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁরা যে সমস্ত কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁদের আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।’

আজ শনিবার সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একদল চাঁদাবাজির কারণে জনগণের ঘৃণা কুড়িয়েছে, আরেক দল আবার তার চেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে। একদল দখলদার বনতে গিয়ে জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, আরেক দল বেপরোয়া দখলদার হয়ে উঠেছে। একদল জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, আরেক দল একই পথ ধরেছে, এমনকি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে গণভোট করাসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ ভিন্ন সুরে কথা বলছে: জামায়াতের আমির