ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নূতনের স্বামী রুহুল আমিন বাবুল মারা গেছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রযোজক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য কবিরুল ইসলাম রানা (অপূর্ব রানা) এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রুহুল আমিন বাবুল দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এ তথ্য স্মরণ করে কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, “উনি (রুহুল আমিন বাবুল) বেশ কিছুদিন যাবৎ ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। মাঝে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন। হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সেখানেই মারা যান তিনি।” 

আরো পড়ুন:

কান ধরে কেন ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী?

ধর্মের টানে অভিনয় ছাড়লেন চিত্রনায়িকা মৌ খান

ররিবার (৭ ডিসেম্বর) বসুন্ধরার ডি ব্লকে বাদ জোহর জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

প্রযোজনা-পরিচালনার দায়িত্ব ছাড়াও বাবুল ছিলেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা জসিমের গড়ে তোলা ফাইটিং দল ‘জ্যাম্বস’ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; এটি ১৯৭৪ সালে গড়ে তোলা হয়েছিল। 

সত্তরের দশকের শেষের দিকে সিনেমা প্রযোজনা শুরু করেন রুহুল আমিন। প্রায় ৩০টি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন তিনি। তার প্রযোজনায় নির্মিত হয় ‘দোস্ত দুশমন’, ‘বারুদ’, ‘চাঁদ সুরজ’, ‘কাবিন’ প্রভৃতি সিনেমা। তার প্রযোজিত সবশেষ সিনেমা ‘আমি সেই মেয়ে’। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় এটি। 

১৯৭৮ সালে অভিনেত্রী নূতনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রযোজক রুহুল আমিন বাবুল। এই দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান রয়েছেন। তারা হলেন— লাবিবা আমিন (বড় মেয়ে) ও ফারহানা আমিন রীতু (ছোট মেয়ে)।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র হ ল আম ন ব ব ল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্য ও কাতারের যৌথভাবে ১১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা

কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা ও পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে যুক্তরাজ্য ও কাতার যৌথভাবে ১১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান ঘোষণা করেছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য, কাতার রাষ্ট্রের সাথে অংশীদার হয়ে মানবিক প্রচেষ্টা জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং যৌথভাবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়কে সহায়তার জন্য ১১.২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে।

এই যৌথ সহায়তার মাধ্যমে ক্যাম্পে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং শরণার্থী শিবির ও আশপাশ এলাকায় পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা একসঙ্গে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও আরও টেকসই সম্প্রদায় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এলপিজি সরবরাহের ফলে জ্বালানি কাঠের ওপর নির্ভরতা কমবে, যা গত কয়েক বছরে আশপাশ এলাকায় ব্যাপক বন উজাড়ের কারণ হয়েছিল।

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আগমনের পর থেকে কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ