তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে শরিয়াহ সূচক সমন্বয় করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এতে সিএসই শরিয়াহ সূচকে নতুন করে একটি কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সূচক থেকে বাদ পড়েছে আগের ১০ কেম্পানি।
সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যমতে, ৩৮৪ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে সমন্বয়ের পর সিএসই’র শরিয়াহ সূচকে মোট কোম্পানি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২। আগামী ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
শরিয়াহ সূচকে নতুন যুক্ত হওয়া কোম্পানিটি হলো- হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি।
বাদ পড়া কোম্পানিগুলো হলো- এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক লিমিটেড, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।
চূড়ান্ত সিএসই শরিয়াহ ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত ১১২ কোম্পানি হলো- হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি, আমরা নেটওয়ার্কস, আমরা টেকনোলজিস, একমি পেস্টিসাইডস, এডিএন টেলিকম, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অগ্নি সিস্টেমস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, আমান কটন ফাইব্রাস, অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এপেক্স ফুডস, অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস, বঙ্গজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, বারাকা পাওয়ার, বাটা বাংলাদেশ, বিবিএস ক্যাবলস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বিচ হ্যাচারি, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস, বাজার পেইন্টস বাংলাদেশ, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।
আরো রয়েছে, কপারটেক ইন্ডাসট্রিজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, ডোরিন পাওয়ার জেনারেশসনস অ্যান্ড সিস্টেমস, ড্রাগন সোয়োটার অ্যান্ড স্পিনিং, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ই-জেনারেশন, এস্কার নিট কম্পোজিট, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাজট্রিজ, ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, ফাইন ফুডস লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, ফু-ওয়াং ফুডস্ লিমিটেড, গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিক্যালস লিমিটেড, জিকিউ বল পেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গ্রামীণফোন লিমিটেড, হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস পিএলসি, হামিদ ফ্যাব্রিক্স পিএলসি, এইচডব্লিউএ ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসি, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ইসলামী ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি.
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ফারমেশন টেকনোলজি কনসালটেন্টস পিএলসি, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট মানুফেকচারিং লি., জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লি., কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লি., খান ব্রদারস পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড, কোহিনুর ক্যামিকাল কো. (বিডি) লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কো. লি., লিগেসি ফুটওয়ার লিমিটেড, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লি., মালেক স্পিনিং মিলস পিএলসি, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি, এম এল ডাইং লি., মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি., নাহি আলুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লি., নাভানা সিএনজি লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, অলেম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, আলম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি., প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি.।
গ্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লি., কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রহিমা ফুড কর্পোরেশন লি., আরএকে সিরামিকস, রংপুর ফাউন্ড্রি, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, রবি আক্সিয়াটা, সায়হাম কটন মিলস, স্যালভো ক্যামিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ, সমতা লেদার কমপ্লেক্স, শমরিতা হসপিটাল, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার, শাইনপুকুর সিরামিকস, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, দ্য ডাকা ডাইং অ্যান্ড মানুফেকচারিং, দ্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি, তিতাস গ্যাস ট্রান্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড কোম্পানি, ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং জাহিন স্পিনিং।
ঢাকা/এনটি//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড স ট র জ ল ম ট ড ল দ শ প এলস ক ইন ড স ল ইসল ম স প এলস ক প এলস স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে লেদেনের পরিমাণ কমেছে। একই সঙ্গে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪১.৫৭ পয়েন্ট বা ২.৮২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪২.৪৮ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩২.০৬ পয়েন্ট বা ৩.০৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৯.৬২ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮২৮.৮৭ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি ২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৩৭১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৫টির, দর কমেছে ১২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ২৯টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯০.১০ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ২.০২ শতাংশ কমে ১২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৯৫ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৮৭ শতাংশ কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, দর কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা