টেস্ট ও ওয়ানডের তুলনায় এই বছর টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের সঙ্গে এই বছর সবচেয়ে বেশি দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তাই পারফরম্যান্সের বিবেচনায় টি-টোয়েন্টিকেই বেশি মূল্যায়ন করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের মতে, টি-টোয়েন্টিতে বেশি খেলার কারণ দলটা গুছিয়ে এসেছে এবং দলটি ধারাবাহিক সাফল্যও পাচ্ছে। সব মিলিয়ে ৩০ ম্যাচে ১৫ জয়, ১৪ হারকে সঙ্গী করে বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়-পরাজয়ের হিসেব বিবেচনায় সফলতম বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ১.

০৭১। গড় ২৩.৩২। গত বছর ২৪ ম্যাচে ১২ জয় ছিল বাংলাদেশের। হেরেওছিল ১২ ম্যাচ। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ছিল ১.০০০। গড় ২০.৮০। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা, আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই কাজে লাগবে বাংলাদেশের। সালাহ উদ্দিন সেই কথাই বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের উন্নতি যেভাবে করতে চেয়েছি মোটামুটি কাছাকাছি পৌঁছেছি। একেবারে বলবো না যে, আমরা অনেক সাফল্য পেয়ে গেছি। কিন্তু যতটুকু সাফল্য আসছে, এটা টি-টোয়েন্টি থেকেই আসছে।’’

আরো পড়ুন:

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

ভালোবাসা, গর্বে মোড়ানো মুশফিকের ‘একশ’ টেস্ট

এর পেছনের কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘‘আমরা প্রতিনিয়ত সিরিজ খেলেছি একটার পর একটা এবং একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এগিয়েছি। বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করে আমরা এগিয়েছি। এখনো হয়তো উন্নতির আরো কিছু জায়গা আছে। কিন্তু আমাদের যতগুলো সিরিজ ছিল এখান থেকে হয়তো কিছু ফল আসছে। ব্যাটসম্যানরা তাদের রোল অনুযায়ী খেলতে পেরেছে। অনেক সময় হয়তো অনেক ব্যাটসম্যান তার রোল অনুযায়ী পারফর্ম করেনি। কিন্তু তারা অন্তত জানে তাদের কি করতে হবে। আমার মনে হয় যে টি-টোয়েন্টি দলটা একটা ভালো অবস্থায় আছে।’’

এছাড়া সাদা পোশাকে এবারে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ভালোই। ৬ ম্যাচে ৩টিতে জিতেছে। হেরেছে ২টি। ড্র হয়েছে ১ টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সালাহ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘টেস্ট দলে আমাদের বরাবরই আমাদের একটু অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আছে এবং দলটা ভালো অবস্থায় আছে। আমি মনে করি যে, এটাও (টেস্ট দল) আমরা দিনকে দিন উন্নতি করছি। কমবেশি ফল আসছে।’’ বাংলাদেশের ভাবনার আকাশে কালো মেঘ ভর করেছে ওয়ানডে ক্রিকেট। এই বছর ১১ ওয়ানডের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৭ ম্যাচ। টাই হয়েছে ১টি। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে।

সালাহ উদ্দিন পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ভালো করার জন্য সময় চাইলেন, ‘‘ওয়ানডেটা আমরা অনেক দিন পর পর সিরিজ খেলছি। এখানে ফল আসছে না। আমাদের চার-পাঁচজন যারা ছিল তারা অনেকদিন ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে। ওই জায়গাটা আমাদের আসলে পূরণ করতে হলে আমাদের একটু সময় দিতে হবে। ওই জায়গাগুলো যখন ছেলেদের একটু অভিজ্ঞ হয়ে যাবে তখন মনে হয় যে আমরা ওয়ানডেতেও ভালো খেলবো। সামনের বছর আমাদের অনেক ওয়ানডে সিরিজ আছে। সেখানে আমরা দ্রুত জায়গাগুলো মেক আপ করতে পারব।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ল হ উদ দ ন আম দ র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

বছর শেষে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার হালচাল কী?

বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। লাদাখে শুটিং করতে গিয়ে সিনেমাটির শতাধিক ক্রু সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন, ট্রেইলার মুক্তির পর রণবীরের মারকাটারি উপস্থিতিও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ফলে আদিত্য ধর নির্মিত এ সিনেমার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা। অপেক্ষার ইতি টেনে সিনেমাটি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছেন রণবীর সিং। গত ৫ ডিসেম্বর ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। চলতি বছরে রণবীর সিংয়ের এটিই প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা।  

প্রিয় তারকার সিনেমার জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষায় ছিলেন রণবীরের ভক্ত-অনুরাগীরা। বছর শেষে পর্দায় এসে ভক্তদের হতাশ করেননি এই তারকা। চলচ্চিত্র সমালোচক, বক্স অফিস রিপোর্ট অন্তত তেমনই খবর দিয়েছে। 

আরো পড়ুন:

সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য, মুখ খুললেন বিদ্যা

স্ত্রীকে সঞ্জয়ের ‘মা’ সম্বোধন, নেপথ্যে কী?

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার রেণুকা ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার রেটিং পাঁচে সাড়ে তিন দিয়েছেন। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাকে ‘শক্তিশালী করাচি মাফিয়া থ্রিলার’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, “সিনেমাটির প্রধান অভিনেতা রণবীর সিং ‘সংযত কিন্তু জ্বলন্ত’ পারফরম্যান্স করেছেন; যা চলচ্চিত্রের সামগ্রিক প্রভাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে। সিনেমাটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হলেও বিরক্তিকর মনে হয়নি। কারণ এতে রয়েছে ‘স্টাইলিশ, নিবিড় গাঁথুনির গল্প। আর নির্মাণশৈলী বিশ্বমানের।”  

হিন্দুস্তান টাইমসের ঋষভ সুরি পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। ‘দীর্ঘ কিন্তু উপাদানে ভরপুর স্পাই ড্রামা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। রণবীর সিং ও অক্ষয় খান্নার অভিনয়, পাশাপাশি পরিচালক আদিত্য ধরের কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে সমালোচক রেণুকার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করেছেন ঋষভ। কারণ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য অতিরিক্ত ও উপ-কাহিনি কম বলে বর্ণনা করেছেন এই সমালোচক।  

এনডিটিভির রাধিকা শর্মা পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স ও সাউন্ডট্র্যাকের প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সমালোচনা করে সিনেমাটিকে ‘একেবারে ভিন্ন আরেকটি চলচ্চিত্রের মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন রাধিকা। পিঙ্কভিলার গায়ত্রী নির্মল চলচ্চিত্রটিকে পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৪। তিনি চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয়ার্ধ, চিত্রনাট্য, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের প্রশংসা করেছেন। যদিও চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন রাধিকা। 

বক্স অফিসে শুরুটা মন্দ হয়নি। বলি মুভি রিভিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বলিউডের ৪৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া সিনেমার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি)। এ তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। মুক্তির প্রথম দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ২৪ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ৩০ কোটি রুপি। দুই দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৭.৭৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা)।     

তবে স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় খানিকটা বেশি। মুক্তির দুই দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ৭২ কোটি রুপি (গ্রস)। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৯.৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৮ কোটি ৭ লাখ টাকা)।     

ভারতীয় একজন গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। পাকিস্তানের লিয়ারি শহরের ভেতরে ঢুকে অপারেশন চালান তিনি। সত্য-মিথের সীমানা মিলিয়ে সিনেমাটিতে উঠে এসেছে বাস্তব চরিত্রও। অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছেন আলোচিত গ্যাংস্টার রেহমান ডাকাতের চরিত্রে আর সঞ্জয় দত্তকে দেখা গেছে এসপি চৌধুরী আসলামের ভূমিকায়। 

এ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সারা অর্জুন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন—অর্জুন রামপাল, রাজেশ বেদি, আর. মাধবন, মানব গোহিল প্রমুখ। ২৮০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন আদিত্য ধর, লোকেশ ধর, জ্যোতি দেশপান্ডে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালাহ বললেন, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে’
  • বছর শেষে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার হালচাল কী?