ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

‘রোজা ও পূজাকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ বলে মন্তব্য করায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন আইনজীবী রিদওয়ান হোসেন রবিন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে এ আবেদন করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আজ আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি হতে পারে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্প্রতি ‘ডিএসএন’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে শিশির মনির মন্তব্য করেন, ‘রোজা এবং পূজা একই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ।’ তিনি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের মুসলিম জনসাধারণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে এ বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা নিরাকার আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখেন, যার প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেব-দেবীর আকৃতি দিয়ে পূজা করেন। রোজাকে পূজার সঙ্গে তুলনা করা বা উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের উক্তি সরাসরি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের শামিল এবং তা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পুরোনো হাতিয়ার ব্যবহার করে কি নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে, প্রশ্ন সারা হোসেনের

পুরোনো হাতিয়ার ব্যবহার করে নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে কি না—প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন। তিনি বলেন, ‘যারা ‘ইয়ার্কির’ (e-আরকি, ব্যঙ্গবিদ্রূপভিত্তিক ওয়েবসাইট) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাঁরা তো দাবি করছেন যে তাঁরা নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। তো সেই কাজগুলো কি এইভাবেই হবে? পুরোনো সব হাতিয়ার ব্যবহার করে? পুরোনো সব আইন ব্যবহার করে?’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন: মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সারা হোসেন এ কথা বলেন।

সভাটি আয়োজন করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ ও ফান ম্যাগাজিন ‘e-আরকি’। সভায় স্যাটায়ারিস্ট, কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিগত সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিষয়টি টেনে সারা হোসেন বলেন, সে সময় বলা হয়েছিল যে কেউ যদি কোনোভাবে সংবিধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, সেটাকেও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে দেখা হবে। সেটার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কথা বলার জন্য শাস্তির পাওয়ার সেই চর্চা থেকে সবাই বের হয়ে আসতে চাইছে।

সারা হোসেন বলেন, মিম ও কার্টুনের গুরুত্ব হলো তামাশার মাধ্যমে ক্ষমতাশালীদের প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। এখনকার সময়ে এগুলো সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে। সে জন্য এসবের সামাজিক আর রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এগুলোর একটি স্পেস রাখা দরকার। সেই স্পেসটাকেই মামলা দিয়ে সংকীর্ণ করার চেষ্টা হচ্ছে।

অনলাইনে ‘অপপ্রচার’ ও নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম। মামলা করার পর তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সাইবার সাপোর্ট ইউনিটের সঙ্গে ফলপ্রসূ মিটিং করেছি। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। একই সঙ্গে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজকে আমরা এখানে লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগগুলো দিয়েছি।’

‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন: মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অতিথি ও আলোচকেরা। আজ শনিবার সকালে, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটাই বাতিল হওয়া উচিত: আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া
  • বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে প্রথম জাতীয় আইন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • টিউলিপের বিচারপ্রক্রিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের অদূরদর্শিতা
  • পুরোনো হাতিয়ার ব্যবহার করে কি নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে, প্রশ্ন সারা হোসেনের
  • সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্বৈত প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা দূর হয়েছে: প্রধান বিচারপতি