রাজবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে দুর্বৃত্তদের আগুন
Published: 7th, December 2025 GMT
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত অংশে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার ভোররাতের দিকে দুর্বৃত্তরা কবরস্থানটির সীমানাপ্রাচীর ও বাঁশ দিয়ে ঘেরা অংশে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা–পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে ফজরের ওয়াক্তে মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে এলে কবরস্থানে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘটনা বলতে থাকলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত এসে আগুন নেভান। আগুন লাগার স্থানে পেট্রল ও কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
তারাপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও কবরস্থান দেখভালের দায়িত্বে থাকা শহিদুল বলেন, ফজরের আজান দিতে যাওয়ার সময় তিনি আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী ও হেফজখানার শিক্ষার্থীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি দুর্ঘটনা নয়। কবরস্থানে বিদ্যুৎ নেই, আশপাশেও আগুন ধরার কোনো উৎস নেই। এটি স্পষ্টভাবে পরিকল্পিত নাশকতা।’
দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে থানায় আছেন উল্লেখ করে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.
পাংশা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারাই আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা, ইউএনও এবং থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কেরোসিনের গন্ধ এখনো রয়েছে। এ ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্তিত্বই ঝুঁকিতে পড়বে। বিজয়ের মাসে এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ প্রসঙ্গে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাতুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে মনে হয়েছে আগুন ইচ্ছাকৃতভাবে লাগানো হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কবরস থ ন আগ ন দ মসজ দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কবরস্থানে মিলল একনলা বন্দুক, এলজিসহ ছয়টি অস্ত্র, লুকানো ছিল ঝোপের ভেতর
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একটি কবরস্থানের ঝোপের ভেতর থেকে একনলা বন্দুক, এলজিসহ ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেগমগঞ্জের এলাকাটি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের সীমানাসংলগ্ন। আজ রোববার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই সব অস্ত্র উদ্ধার করে, তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
আজ বিকেলে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আজ সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর মনু মাঝিবাড়ির কবরস্থানসংলগ্ন ঝোপ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র উদ্ধার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে। অস্ত্রগুলো স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে তৈরি বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার নোহা অটো ট্রেডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এসব অস্ত্র তৈরি করা হতো। এই ওয়ার্কশপের মালিক নুর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই ওয়ার্কশপের আড়ালে অবৈধ অস্ত্র তৈরি করছিলেন। এর আগে ১ ডিসেম্বর একই ওয়ার্কশপ থেকে একটি দেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো নাশকতার জন্য মজুত করা হচ্ছিল বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নুর উদ্দিন বর্তমানে পলাতক, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।