বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে বলতে শোনা যায়, ক্ষমতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলকে দেখা হয়েছে। এবার অমুককে দেখুন। এই অমুককে দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে দেখেছে কীভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘৭ দিনব্যাপী কর্মসূচি: বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে ছাত্রদলের সারা দেশের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

বরিশালে ব্যারিস্টার ফুয়াদের ওপর হামলা, আহত ৫ 

বেগম জিয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন: টুকু

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে ইদানীং বলতে শুনেছি বা বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে যে অমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, এবার অমুককে দেখুন। যাদের কথা বলে অমুককে দেখুন, তাদের তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে। ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে রক্ষার্থে কীভাবে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এই যাদের কেউ কেউ বলে যে একবার দেখুন না এদের। তাদের দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে।’’

‘‘লাখ লাখ মানুষকে শুধু হত্যাই করেনি, তাদের সহকর্মীরা কীভাবে মা-বোনদের ইজ্জত পর্যন্ত লুট করেছিল, এ কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে,’’ বলেন তিনি। 

তারেক রহমান বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি বা বেশ কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জিনিসের টিকিট বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জিনিসের কনফারমেশন দিয়ে বেড়াচ্ছেন।’’

‘‘দোজখ, বেহেশত, দুনিয়া সবকিছুর মালিক আল্লাহ। যেটার মালিক আল্লাহ, যেটার কথা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই বলতে পারেন, সেখানে যদি আমি কিছু বলতে চাই, আমার নরমাল দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বুঝি যে সেটি হচ্ছে শিরক।’’

‘‘ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে, যারা এসব কথা বলে, তারা শিরক করছে। যারা শুনবেন, তারাও শিরকের পর্যায়ে পড়ে যাবেন,’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন তিনি। 

বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র, বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমি গত ৫ অগাস্টের পর থেকে বলে আসছি যে, আমাদের সামনের সময়গুলো কিন্তু খুব ভালো নয়, সামনে অনেক কঠিন সময়ে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র, বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে।”

তিনি বলেন, ‘‘এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে এই দেশের জনগণ এবং এই ষড়যন্ত্র জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দিতে পারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র।’’

এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)।

ঢাকা/তারা//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন দ শ র ম ন ষ ১৯৭১ স ল ত র ক রহম ন অন ষ ঠ ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে আইন দিয়ে অবৈধ আয় বন্ধ হবে না: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

অবৈধ আয় কমাতে গেলে দিন শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে বলে মনে করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি আরও বলেন, তা না হলে একটি উৎস বন্ধ করলে আরেকটি উৎস চালু হয়ে যায়।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এ কথাগুলো বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

উদ্বোধনী অধিবেশনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন। দুই দিনের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক।

মূল প্রবন্ধে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অশুভ সংস্কৃতি গড়ে উঠলে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার দিয়ে সমাধান হবে না। ভারতে ঘুষ নেওয়ার মতো দেওয়াটা অপরাধ হলেও আমাদের দেশে দেওয়াটা অপরাধ বলে মনে করা হয় না।’

উন্নয়ন সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু গণতান্ত্রিক দেশে নয়, চীন–ভিয়েতনামেও হয়েছে। কেননা, এসব দেশে জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। মূল্যবোধ ও আস্থার ওপর উদারনীতিকরণের সফলতা নির্ভর করে। জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ববোধও থাকতে হয়। এখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছাত্রদের পরীক্ষা বন্ধ করে ও তাদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। অথচ আমাদের সময় শিক্ষকেরা বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এটাই হলো দায়িত্ববোধ।’

সামাজিক আচরণবিধি, মূল্যবোধ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক বলেন, ‘দুই দিনের গবেষণা সম্মেলনে প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে নানা বিষয় উঠে আসবে। আমাদের যুব বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়ছে এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা সংকট আছে। এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসবে।’

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরেক অধিবেশনে চারটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল।

প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না

আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আগের অনেক প্রকল্প পরিচালক চলে গেছেন; কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই নতুন প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না।

বর্তমান মেয়াদের আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তখনকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সময় বললেই কাজ হয়ে যেত। সচিব ছিলেন আকবর আলি খান ও সা’দত হুসাইন। কিন্তু এখন বললেই হয় না; কোথায় সমস্যা আছে, তা নিজেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে তাদের দেখেছে: তারেক
  • রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে আইন দিয়ে অবৈধ আয় বন্ধ হবে না: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
  • চিরচেনা ছবির হারানো নায়কেরা
  • ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর বাংলাদেশ প্রীতি
  • আজ শত্রুমুক্ত ফেনীতে প্রথম উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা
  • অপারেশন ওমেগা: অবৈধ সীমানায় বৈপ্লবিক মানবিকতা
  • মোড় ঘোরানো দুই দিনের সম্মেলন শিলিগুড়িতে 
  • মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি করেছিলেন ‘অঁদ্রে মালবো’
  • পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে, মুক্তিকামীদের উল্লাস