শস্য–সংস্কৃতি–সমৃদ্ধির শিল্পোৎসব
Published: 7th, December 2025 GMT
বাংলার কৃষিজ জীবন, উর্বরতা ও সামষ্টিক আনন্দের চিরন্তন প্রতীক নবান্ন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত প্রদর্শনীটি ফসল, কৃষিশ্রম ও গ্রামীণ সংস্কৃতির বহুরূপ প্রকাশকে এক শিল্পমঞ্চে রূপ দেয়। এখানে নবান্ন কেবল নতুন ধানের স্বাদগ্রহণ নয়; এটি মাটির প্রতি মানুষের নিবিড় সম্পর্ক, কৃষকের পরিশ্রম ও বাংলার লোক–ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনের উৎসব। এই প্রদর্শনীতে শিল্পীরা শস্যকে দেখেছেন প্রতীকের ভাষায়—ধানের দোলায়মান শিষ যেন বাংলার অতীত ও বর্তমানের সেতুবন্ধন, কৃষকের হাতের কাদামাখা রেখাচিত্র যেন সংগ্রাম ও আশার চিহ্ন আর নতুন অন্নের ঘ্রাণ যেন এক নবজাগরণের ইঙ্গিত। কাগজে চারকোল, জলরং, ক্যানভাসে অ্যাক্রিলিক মাধ্যমে উঠে এসেছে শস্যের অন্তর্নিহিত নান্দনিকতা।
‘নব’ অর্থ নতুন, ‘অন্ন’ অর্থ খাদ্য। অর্থাৎ নতুন ধান থেকে প্রস্তুত করা প্রথম খাদ্যই নবান্ন। মূলত অগ্রহায়ণ মাসে (নবান্নের মাস) ধান কাটার পর গ্রামে-গঞ্জে যে আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হতো, তা-ই আজকের নবান্ন উৎসবের ঐতিহাসিক ভিত্তি। বাংলার কৃষিজীবন যত দীর্ঘ, নবান্ন উৎসবের ইতিহাসও তত পুরোনো। নবান্ন কোনো নির্দিষ্ট সাল থেকে শুরু হওয়া উৎসব নয়, বরং হাজার হাজার বছর ধরে বাংলার মানুষের কৃষি, ঋতুচক্র ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত একটি আদি লোকায়ত ঐতিহ্য। ধানভিত্তিক সভ্যতার আদিম যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলাদেশ পর্যন্ত নবান্ন বিভিন্ন রূপে পালিত হয়ে এসেছে—কখনো ধর্মীয় আচার, কখনো পারিবারিক আনন্দ, কখনো সমবায় সামাজিক মিলনমেলার উৎস হিসেবে।
১ / ৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নব ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড্ডা আর গানে চুয়েটে ‘জয়ধ্বনির’ উৎসবমুখর আয়োজন
মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ গাইছেন গান, কেউ গিটারের তারে তুলছেন সুর। দর্শকেরাও সেই সুর মোহিত হয়ে উপভোগ করছেন। কেউ দিচ্ছেন করতালি, কেউবা মুঠোফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে শিল্পীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মঞ্চের আলোকসজ্জা তো আছেই।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। উৎসবমুখর এ পরিবেশের আয়োজন করেছিল চুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়ধ্বনি। সংগঠনটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির দুই দিনব্যাপী এ উৎসবে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরাও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ উৎসব শেষ হয়েছে। এ উৎসব ঘিরে মাঠের চারপাশে বসে বিভিন্ন ধরনের স্টল। এতে ছিল নানা পণ্য, খাবার ও শীতের পিঠা।
উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো, পৃষ্ঠপোষকতায় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ‘হ্যাভিট’, খাদ্যসহায়তায় ‘পাহাড়িকা কিচেন’ আর বেভারেজ সহায়তায় মোজো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিল্পীরা। বিরতির পর রাত নয়টায় আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একে একে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পরিবেশকদের সম্মাননা দিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ হয়।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের এ আয়োজন দেখতে ভিড় করেন হাজারো শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়েটের বাস্কেটবল মাঠে