সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে: উপদেষ্টা
Published: 7th, December 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মতো বেড়ে গিয়েছিল। আমদানির অনুমতির খবরে আজ আবার দাম একটু কমেছে। এই যে কারসাজি করে কৃষকদের যেমন ঠকানো হচ্ছে, ভোক্তাদের আরো বেশি ঠকানো হচ্ছে। এই চক্রটি খুঁজে বের করতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা চাই কৃষক ও ভোক্তা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হউক, উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হউক।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করছি। তামাক স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও এর কোনো উপকারিতা নেই। সেজন্য তামাক চাষে সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘আজ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সভায় অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের খাদ্যে নানা ধরনের ভেজালের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। তাই কৃষি খাতে কীটনাশক ও ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কীটনাশক ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে ফসল বাজারজাত না করে ৪-৫ দিন পর বাজারজাত করলে ভোক্তা পর্যায়ে এর ক্ষতিকর দিক কমিয়ে আনা সম্ভব। সেজন্য কৃষককেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বাজারে সবজির দাম তেমন বেশি না, মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে ও জনগণের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। সামনে সবজির দাম আরো কমবে। কৃষকরা যাতে এ ক্ষেত্রে লোকসানে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা ইতোমধ্যে ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করে দিয়েছি যাতে সবজির ক্ষতি না হয়, সংরক্ষণ করা যায়। আরো ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের মধ্যে এক মাসের মতো একটি ট্রানজিট সময় থাকে। এ সময় যদি সরবরাহ চেইন ঠিক রাখা যায়, তবে বাজারে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে, সবসময় কৃষকের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা কিছুদিন আগে লটারির মাধ্যমে এসপি ও ওসিদের বিভিন্ন জেলা ও থানায় পদায়ন করেছি। প্রয়োজন হলে একইভাবে কৃষি অফিসারদের পদায়ন করা হবে। এতে দুর্নীতি ও তদবির বাণিজ্য কমে আসবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি আমদানিকারক একবার আইপি (আমদানি অনুমতি) পাবেন। দৈনিক ৫০টি করে আইপি দেওয়া হবে। একজন আমদানিকারক সর্বোচ্চ ৩০ মেট্রিক টন করে আমদানি করতে পারবেন।’’
ঢাকা/এএএম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট স রক ষ আমদ ন সবজ র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে: উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মতো বেড়ে গিয়েছিল। আমদানির অনুমতির খবরে আজ আবার দাম একটু কমেছে। এই যে কারসাজি করে কৃষকদের যেমন ঠকানো হচ্ছে, ভোক্তাদের আরো বেশি ঠকানো হচ্ছে। এই চক্রটি খুঁজে বের করতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা চাই কৃষক ও ভোক্তা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হউক, উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হউক।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করছি। তামাক স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও এর কোনো উপকারিতা নেই। সেজন্য তামাক চাষে সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘আজ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সভায় অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের খাদ্যে নানা ধরনের ভেজালের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। তাই কৃষি খাতে কীটনাশক ও ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কীটনাশক ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে ফসল বাজারজাত না করে ৪-৫ দিন পর বাজারজাত করলে ভোক্তা পর্যায়ে এর ক্ষতিকর দিক কমিয়ে আনা সম্ভব। সেজন্য কৃষককেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বাজারে সবজির দাম তেমন বেশি না, মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে ও জনগণের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। সামনে সবজির দাম আরো কমবে। কৃষকরা যাতে এ ক্ষেত্রে লোকসানে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা ইতোমধ্যে ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করে দিয়েছি যাতে সবজির ক্ষতি না হয়, সংরক্ষণ করা যায়। আরো ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের মধ্যে এক মাসের মতো একটি ট্রানজিট সময় থাকে। এ সময় যদি সরবরাহ চেইন ঠিক রাখা যায়, তবে বাজারে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে, সবসময় কৃষকের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা কিছুদিন আগে লটারির মাধ্যমে এসপি ও ওসিদের বিভিন্ন জেলা ও থানায় পদায়ন করেছি। প্রয়োজন হলে একইভাবে কৃষি অফিসারদের পদায়ন করা হবে। এতে দুর্নীতি ও তদবির বাণিজ্য কমে আসবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি আমদানিকারক একবার আইপি (আমদানি অনুমতি) পাবেন। দৈনিক ৫০টি করে আইপি দেওয়া হবে। একজন আমদানিকারক সর্বোচ্চ ৩০ মেট্রিক টন করে আমদানি করতে পারবেন।’’
ঢাকা/এএএম/রাজীব