গাজা যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে: নেতানিয়াহু
Published: 9th, December 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। তবে প্রধান প্রধান বিষয়গুলো এখনো সমাধান হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলকে গাজা থেকে আরও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বিনিময়ে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
সাংবাদিকদের নেতানিয়াহু বলেন, চলতি মাসের শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন তিনি। ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর এ বৈঠক হবে।
জেরুজালেমে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটতে হবে এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। অন্য এক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক বাহিনীর মাধ্যমে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলই শেষ পর্যন্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করবে।
হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা বাসেম নাইম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, তারা অস্ত্র সমর্থনের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদিও এর আগে সংগঠনটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়তে রাজি ছিল না।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই মাস পরেও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিন চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ৩৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনগাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস ও ইসরায়েল১৬ ঘণ্টা আগেএদিকে ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজার অর্ধেকেরও বেশি অংশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বেড়েছে। তবে ইসরায়েলি বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তাহীনতা এখনো বিদ্যমান। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলা নিয়েও মতবিরোধ চলছে।
আরও পড়ুন হামলার মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরুর পরিকল্পনা০৫ ডিসেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে সংশয় ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত বল ছ ন ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
তানজানিয়া: আফ্রিকান ঐক্যের মশালবাহী বিজয়
ডিসেম্বর মাস এলেই বিশ্বজুড়ে মুক্তির ধ্বনি শোনা যায়। আজ ৯ ডিসেম্বর, পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ তানজানিয়ার স্বাধীনতা দিবস। ১৯৬১ সালের এই দিনে ট্যাঙ্গানিকা (তানজানিয়ার মূল ভূখণ্ড) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। এই দিনটি তানজানিয়ার জনগণের কাছে শুধু স্বাধীনতার দিন নয়, এটি তাদের আত্মমর্যাদা ও আফ্রিকান ঐক্যের প্রতীক।
তানজানিয়ার স্বাধীনতার স্থপতি জুলিয়াস নায়াররে, যিনি ‘মওয়ালিমু’ বা শিক্ষক নামেই বেশি পরিচিত। বিশ্বাস করতেন, স্বাধীনতা মানে কেবল পতাকার পরিবর্তন নয়, এর অর্থ হলো সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। তাঁর নেতৃত্বেই দেশটি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের কবল থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। রক্তপাতহীন এই বিজয় ছিল আফ্রিকার ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
স্বাধীনতার কয়েক বছর পর ১৯৬৪ সালে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র জানজিবারের সঙ্গে ট্যাঙ্গানিকা একীভূত হয়ে বর্তমানের ‘তানজানিয়া’ (Tanzania) গঠন করে। নামটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে দুই অংশের মিলন—‘Tan’(Tanganyika) ও ‘Zan’ (Zanzibar)। ৯ ডিসেম্বরের এই দিনে দারুসসালামের জাতীয় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, ঐতিহ্যবাহী নাচ আর গানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো জাতি।
তানজানিয়ার স্বাধীনতার স্থপতি জুলিয়াস নায়াররে