চ্যালেঞ্জের বছরেও চরকিতে ভরপুর কনটেন্ট
Published: 9th, December 2025 GMT
২০২৫ সাল ছিল দেশের বিনোদন জগতের জন্যই এক চ্যালেঞ্জের বছর। সেই চ্যালেঞ্জের মধ্যেই দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি দর্শকদের জন্য মুক্তি দিয়েছে ২৭টি ভিন্নধর্মী কনটেন্ট। সংখ্যার বিচারে যেমন, তেমনি বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতির দিক থেকেও এটি শুধু চরকির জন্য নয়, পুরো দেশের কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
এই এক বছরে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে বড় ক্যানভাসের অরিজিনাল সিনেমা, নামকরা নির্মাতা ও জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের কাজ, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা, পাশাপাশি নতুন ও তরুণ নির্মাতাদের পরীক্ষামূলক কাজ। গল্প, ভাষা ও আঙ্গিক—সব মিলিয়ে চরকির কনটেন্ট পরিকল্পনায় ছিল স্পষ্ট বৈচিত্র্যের ছাপ।
সিরিজে বড় ক্যানভাস, গল্পে সাহস
২০২৫ সালের শুরুতেই আলোচনায় আসে সুকর্ন সাহেদ ধীমান পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ফেউ’। মানবতা, রাজনীতি ও ইতিহাসের নৃশংস বাস্তবতা থেকে অনুপ্রাণিত এই সিরিজে উঠে এসেছে মরিচঝাঁপি গণহত্যার ফিকশনাল প্রেক্ষাপট। সংবেদনশীল বিষয় ও নির্মাণশৈলীর কারণে সিরিজটি দর্শক–সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়ে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তানজানিয়া: আফ্রিকান ঐক্যের মশালবাহী বিজয়
ডিসেম্বর মাস এলেই বিশ্বজুড়ে মুক্তির ধ্বনি শোনা যায়। আজ ৯ ডিসেম্বর, পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ তানজানিয়ার স্বাধীনতা দিবস। ১৯৬১ সালের এই দিনে ট্যাঙ্গানিকা (তানজানিয়ার মূল ভূখণ্ড) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। এই দিনটি তানজানিয়ার জনগণের কাছে শুধু স্বাধীনতার দিন নয়, এটি তাদের আত্মমর্যাদা ও আফ্রিকান ঐক্যের প্রতীক।
তানজানিয়ার স্বাধীনতার স্থপতি জুলিয়াস নায়াররে, যিনি ‘মওয়ালিমু’ বা শিক্ষক নামেই বেশি পরিচিত। বিশ্বাস করতেন, স্বাধীনতা মানে কেবল পতাকার পরিবর্তন নয়, এর অর্থ হলো সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। তাঁর নেতৃত্বেই দেশটি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের কবল থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। রক্তপাতহীন এই বিজয় ছিল আফ্রিকার ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
স্বাধীনতার কয়েক বছর পর ১৯৬৪ সালে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র জানজিবারের সঙ্গে ট্যাঙ্গানিকা একীভূত হয়ে বর্তমানের ‘তানজানিয়া’ (Tanzania) গঠন করে। নামটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে দুই অংশের মিলন—‘Tan’(Tanganyika) ও ‘Zan’ (Zanzibar)। ৯ ডিসেম্বরের এই দিনে দারুসসালামের জাতীয় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, ঐতিহ্যবাহী নাচ আর গানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো জাতি।
তানজানিয়ার স্বাধীনতার স্থপতি জুলিয়াস নায়াররে