বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাঁর চিকিৎসা চলছে। 

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে একান্তই তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। 

বাসস জানায়, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.

এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেনের বরাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান বলেন, “দলীয় চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।”

দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে মায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন তাঁর ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান হাসপাতালে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার পাশেই রয়েছেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন বলেন, “দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টিই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই যখনই মেডিকেল বোর্ড মনে করবে— তিনি ‘সেইফলি ফ্লাই’ করতে পারবেন, তখনই তাঁকে বিদেশে নেওয়া হবে।”

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় র শ র র ক অবস থ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা, ৩৩ শিশুসহ নিহত ৫০

সুদানের দক্ষিণ করদোফান অঞ্চলে একটি কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৩৩ শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

চলমান গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) বৃহস্পতিবারের এই হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে সুদানের চিকিৎসকদের সংগঠন ‘সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক’ ও সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে আরএসএফ কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্টো আরএসএফ অভিযোগ করেছে, শুক্রবার সেনাবাহিনী দারফুর অঞ্চলের চাঁদ সীমান্তবর্তী আদ্রে ক্রসিং এলাকার একটি জ্বালানি ডিপো ও বাজারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের ক্ষমতা দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে সুদান বিধ্বস্ত।

সেনাবাহিনী সমর্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ড্রোন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হানে। আহতদের সাহায্য করতে আসা সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের ওপরও হামলা হয়।

কালোগির হামলার পর ইউনিসেফের মুখপাত্র শেলডন ইয়েট বলেন, “স্কুলে শিশুদের হত্যা শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ ঘটনা। কোনো সংঘাতের মূল্য কখনোই শিশুদের দিয়ে চুকানো উচিত নয়।” 

তিনি সব পক্ষকে অবিলম্বে এসব হামলা বন্ধ করতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে নিরাপদ, বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানান।

আরএসএফ দাবি করেছে, আদ্রে সীমান্ত ক্রসিংটি মানবিক সহায়তা ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়ায় সেনাবাহিনী সেখানে হামলা চালিয়েছে।

দেশটির রাজধানী খার্তুম ও দারফুরের মাঝামাঝি থাকা উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম করদোফান মিলে গঠিত অঞ্চলটি গৃহযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন। প্রায় ৮০ লাখ জনসংখ্যার এই করদোফান এলাকায় সেনাবাহিনী দারফুরের দিকে অগ্রসর হওয়ায় লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা, ৩৩ শিশুসহ নিহত ৫০
  • খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে রাতে