যখন ক্লাস চলার কথা, তখন বরগুনার গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকে তালাবদ্ধ। কোন কোন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি হাতে গোনা ৪ থেকে ৫ জন। এমন অবস্থায় বেহাল হয়ে পড়েছে শিক্ষা জীবনের সব থেকে মূল্যবান স্তর প্রাথমিক শিক্ষা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় বন্ধই থাকে সরকারি এসব বিদ্যালয়।

বরগুনা সদরের চর মাইঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।‌ সরকারের দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী এই বিদ্যালয়ে পাঠদান চলার কথা থাকলেও বিদ্যালয়টি বেশিরভাগ দিন পাঠদানের সময় থাকে তালাবদ্ধ। নেই কোন শিক্ষক, নেই শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা বলছেন, বেশিরভাগ সময় হাতেগোনা যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আসেন, তাদের ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যান।

চর মাইঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খালের ওপারেই ৪৫ বছর ধরে বসবাস করেন সুলতান মিয়া। তিনি বলেন, “স্যারদের মন চাইলে স্কুলে আসেন, মনে না চাইলে আসেন না। আমরা বেশিরভাগ সময়ে দেখি স্কুলে তালা দেওয়া। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরাও ফাঁকি দেয় স্কুল।”

বিদ্যালয়ের সামনেই এক বৃদ্ধ দোকানী বসেন। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এখানে ক্লাস হয় না। স্যারদের যখন ইচ্ছে আসেন, যখন ইচ্ছে চলে যান।”

প্রতিবেদকের উপস্থিতি জানতে পেরে একের পর এক শিক্ষক বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না, তাই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে যান তারা।

সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন এবং গোলাম সগির বলেন, “আবহাওয়া খারাপ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না। তাই ছুটি দিয়েছি দুইটার দিকে।”

সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই বন্ধ হয়ে যায় সদরের রওশন জাকির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর পশ্চিম গিলাতলী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানান অজুহাত দিয়ে বিদ্যালয় তালাবদ্ধ করে চলে যান।

একই চিত্র বেতাগী ও পাথরঘাটা উপজেলার অসংখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। কিছু বিদ্যালয় থাকে শিক্ষার্থী শূন্য আবার অনেক বিদ্যালয় থাকে বন্ধ।

বেতাগীর দক্ষিণ করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় গোটা বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী শূন্য। দুজন শিক্ষক শিক্ষক মিলনায়তনে গল্প করছেন। শিক্ষার্থীদের মতোই এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিন জন শিক্ষক অনুপস্থিত।

জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও মৌসুমী সমাদ্দর জানান, অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে তারা জানেন না। তবে, শিক্ষার্থীরা কোথায় জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।

মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক মো.

আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি অফিসের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসেছি। বাকি শিক্ষকদের স্কুলে থাকার কথা।” শিক্ষার্থী নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি এসব বিষয়ে জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

পাথরঘাটার জালিয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ। জালিয়াঘাটা এলাকার বাসিন্দারা জানান, কখনো কখনো বিদ্যালয় এভাবেই বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে দেখি স্যারেরা আসেন। আবার দুপুর ১২টা ১টার মধ্যে ছুটি দিয়ে চলে যান।

এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে যেসব বিদ্যালয় খোলা থাকে, সেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও থাকে হাতে গোনা কয়েকজন। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে খোড়া যুক্তি দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

সদরের পূর্ব বদরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়- তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৭ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত, শিক্ষক আছেন তিন জন। তিন ক্লাসের সাত জন শিক্ষার্থীকে এক রুমে নিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন এক জন শিক্ষক।

শিক্ষার্থী উপস্থিতি এত কম থাকার কারণ জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক ইশরাত জাহান ইলা বলেন, “স্কুলে আসার রাস্তাঘাটা ভালো না। এছাড়াও স্কুলের পাশেই আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি মাদ্রাসা আছে। তাই শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক কম।”

বরগুনা সদরের গুলিশাখালী মাঝের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি প্রায় ১৫ জন। তবে প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত। জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক ফয়সাল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক কেন আসেননি তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “চরাঞ্চলের শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না তাই উপস্থিতি কম।”

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মো. ছালেহ বলেন, “পাঠদান নিয়মিত করতে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের তালিকা প্রস্তুত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকে তাদের কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তাদের বেতনও কাটা হয়েছে “

বছরজুড়ে অনুসন্ধানের চিত্র ও তথ্য তাকে জানালে তিনি বলেন, “কিছু কিছু বিদ্যালয় সম্পর্কে অবগত আছি। বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করে যেসব বিদ্যালয়ে অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। বাকিটা মন্ত্রণালয় দেখবেন।”

যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৫০ জনের কম, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। অনিয়মিত পাঠদান ও কম শিক্ষার্থী থাকা ৩০০ বিদ্যালয়ের তালিকাও করা হয়েছিল।

ঢাকা/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন শ ক ষ এই ব দ য ত ল বদ ধ উপস থ ত শ ক ষকর সদর র সরক র সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, একটি ইউনিটের প্রবেশপত্র প্রকাশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার একটি ইউনিটের প্রবেশপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ‘ই’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ১৩ ডিসেম্বর এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮১৫টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৪ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ এবার প্রতি আসনের বিপরীতে ৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ মো. গিয়াসউদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যর পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা, পরিবর্তনে করা হয়েছে ১০ সুপারিশ১ ঘণ্টা আগে

এর আগে গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে গত শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।

এবার চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ১৩ ডিসেম্বর বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আসনবিন্যাস যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এ ইউনিট এবং কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা ৪টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ২২ নভেম্বর ২০২৫আবেদনকারী কত

বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এ ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে কুমিল্লায় ৩ হাজার ৪১৫টি, ঢাকায় ৫৫ হাজার ৪৭৪, খুলনায় ৩ হাজার ৯৪২, রাজশাহী ৯ হাজার ৬৩২; মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে কুমিল্লায় ৪ হাজার ২৭৭টি, ঢাকায় ৫৪ হাজার ২৮২, খুলনায় ৬ হাজার ৩২৫, রাজশাহীতে ১৪ হাজার ৯১২টি; মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।

মোট ১০০ নম্বর বিবেচনায় মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। নিম্নের ছকে উল্লেখিত তিনটি বিষয়ে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে। ইউনিট-এ, বি, সি, ডি-এর সময় হবে এক ঘণ্টা। ইউনিট-ই-এর পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

আরও পড়ুন১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পাস নম্বর ৩০, ভুল উত্তরে নম্বর কাটাসহ দেখুন বিস্তারিত০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

(ক) পরীক্ষার নম্বর বণ্টন নিম্নরূপ:

বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) ৭২ নম্বর, এসএসসি/সমমান ১০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান ১৮ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বর।

(খ) এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের নম্বর ২৪। তবে ইউনিট ই-এর প্রতিটি বিষয়ের নম্বর ৯। প্রতিটি প্রশ্নের মান শূন্য দশমিক ৭৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে।

বি. দ্র.: (১) ইউনিট বি-এর অন্তর্ভুক্ত সংগীত ও নাট্যকলা এবং ইউনিট ডি-এর অন্তর্ভুক্ত ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বহু নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের পর মেধাতালিকার ভিত্তিতে ৫০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ২২ নভেম্বর ২০২৫

বহু নির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। উল্লেখ্য, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট হারে ফি প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ও সময়সূচি পরবর্তী সময় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।

(২) ইউনিট ই-এ ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক এবং ২৭ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গতবারে লিখিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলেও এবার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুনজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি পরীক্ষার্থী ৭১ জন০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ