শীতকালে ত্বক এমনিতেই শুষ্ক থাকে, তাই অতিরিক্ত গোসল করলে শুষ্কতা ও চুলকানি বাড়ে। এ সময় প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়, যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে।

গবেষকেরা বলেন, ‘‘প্রতিদিন গোসল করা সামাজিকভাবে প্রয়োজন হলেও স্বাস্থগত দিক বিবেচনা করলে জরুরি নয়’’।

আরো পড়ুন:

ডিজির সঙ্গে তর্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ডা.

ধনদেব

শীতে ঠান্ডা নাকি কুসুম গরম পানি পান করবেন?

বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে ২-৩ বার বা একদিন পর পর গোসল করার পরামর্শ দেন। যদি খুব বেশি ঘাম হয় বা শরীরে খুব বেশি ময়লা লাগে, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসল করা প্রয়োজন।  

প্রতিদিন গোসল করার পক্ষেও মতামত বেশ জোরালো। নেদারল্যান্ডসের ৩ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘‘যারা প্রতিদিন গোসল করেন তাদের অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কম ছিল অন্যদের তুলনায়’’।

শীতকালে গোসলে  খুব ঠান্ডা পানির বদলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। এতে পেশি শিথিল হয় এবং আরাম পাওয়া যায়।  গোসল করার জন্য দশ মিনিটের বেশি সময় নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। সুতরাং ১০ মিনিটের কম সময়ে গোসল শেষ করুন।

যাদের প্রতিদিন গোসল করা উচিত
এক. যে শিশু খুব বেশি অগোছালো থাকেন
দুই. যারা আর্দ্র স্থানে বাস করেন
তিন. যারা ঘন ঘন ব্যায়াম করেন
চার. যারা প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করেন

গোসল করার সময় হালকা স্ক্রাবিং করুন। গোসলের পরে ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তবেই ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর আপনার ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এমন দিনে উষ্ণ পোশাক পরুন।

গোসলের পরে শরের উষ্ণতা ধরে রাখা জরুরি।  শরীর দ্রুত শুকিয়ে নেওয়ার জন্য বাথরোব পরে নিতে পারেন। যাতে শরীরের পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। 

সূত্র:স্পেস ইন্ডিয়া

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ, মূল আসামি গ্রেপ্তার

র‌্যাবের অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাদল মিয়া (২০) গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি জেলার মাধবপুর উপজেলার কবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

এর আগে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের জগদীশপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযানে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি বাদল মিয়া গ্রেপ্তার হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়- ভিকটিম একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদল ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতো ও কুপ্রস্তাব দিত। স্কুলছাত্রী বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। মেয়েটির বাবা বাদলকে জিজ্ঞাসা করলে সে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।

এর জের ধরে ১৩ নভেম্বর বাদলসহ আরো দুজন মিলে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও স্কুলছাত্রীকে পায়নি। 

পরবর্তীতে তার পিতা বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে সফল হয়।

ঢাকা/মামুন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ