রাঙামাটিতে এক জেলের জালে ২৩ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলার কাপ্তাই উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়লার ডিপোসংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে মাছটি ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে ২১ হাজার ৮৫০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেন ওই জেলে।

মাছ ধরা ওই জেলের নাম উজ্জ্বল মল্লিক। তিনি কাচকি মাছ আহরণের জন্য জাল পেতেছিলেন। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কাচকি মাছ ধরার জাল নিয়ে নদীতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কাতলা মাছটি ধরা পড়ে। তীরে এসে মেপে দেখি ওজন প্রায় ২৩ কেজি। পরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে মাছটি বিক্রি করেছি।’

কাপ্তাই উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিমল চাকমাও ২৩ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাতলা মাছটি ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২৩ ক জ

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ, মূল আসামি গ্রেপ্তার

র‌্যাবের অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাদল মিয়া (২০) গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি জেলার মাধবপুর উপজেলার কবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

এর আগে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের জগদীশপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযানে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি বাদল মিয়া গ্রেপ্তার হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়- ভিকটিম একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদল ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতো ও কুপ্রস্তাব দিত। স্কুলছাত্রী বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। মেয়েটির বাবা বাদলকে জিজ্ঞাসা করলে সে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।

এর জের ধরে ১৩ নভেম্বর বাদলসহ আরো দুজন মিলে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও স্কুলছাত্রীকে পায়নি। 

পরবর্তীতে তার পিতা বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে সফল হয়।

ঢাকা/মামুন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ