হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ, মূল আসামি গ্রেপ্তার
Published: 9th, December 2025 GMT
র্যাবের অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাদল মিয়া (২০) গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি জেলার মাধবপুর উপজেলার কবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
এর আগে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের জগদীশপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি বাদল মিয়া গ্রেপ্তার হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়- ভিকটিম একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদল ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতো ও কুপ্রস্তাব দিত। স্কুলছাত্রী বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। মেয়েটির বাবা বাদলকে জিজ্ঞাসা করলে সে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।
এর জের ধরে ১৩ নভেম্বর বাদলসহ আরো দুজন মিলে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও স্কুলছাত্রীকে পায়নি।
পরবর্তীতে তার পিতা বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে সফল হয়।
ঢাকা/মামুন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী খাল থেকে ডন বাহিনী পরিচয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। এই জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে বলে জানান অন্য জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।
আরো পড়ুন:
সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
সুন্দরবন থেকে ফেরত আসা জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তিনদিন আগে অনুমতি (পাস) নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান জেলেরা। কাঁকড়া শিকারের জন্য তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন।
গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০জন বন্দুকধারী জেলেদের ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নেয় তারা। চলে যাওয়ার সময় একটি নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিন দিনের মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত জেলেদের হাত-পা ভেঙে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, “বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রাল টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের ভেতরে রয়েছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ