গিলা ফলে সুপ্রয়ার মিনিয়েচার, ফুটিয়ে তোলেন পাহাড়ের গল্প
Published: 9th, December 2025 GMT
ছবি: তাঁর সৌজন্যে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার মধ্যরাতে এই হামলা চালানো হয়। খবর আল-জাজিরার।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানগুলো মাউন্ট সাফি, জবা শহর, জেফতা উপত্যকা ও আজ্জা এবং রুমিন আরকির মধ্যবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
৪০ বছর পর লেবানন-ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি বৈঠক
লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৩
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স-এ প্রকাশিত এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে হিজবুল্লাহর এলিট রাদওয়ান ফোর্সের ব্যবহৃত একটি প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ডও রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি ভবন ও একটি রকেট নিক্ষেপের স্থানেও আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইসরায়েল ও লেবানন তাদের যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য নিযুক্ত একটি সামরিক কমিটিতে বেসামরিক দূত পাঠানোর কয়েকদিনের মধ্যে এই হামলা চালানো হলো। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে দুই দেশকে তাদের আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে।
গত শুক্রবার লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেছেন, তার দেশ ‘ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার বিকল্প গ্রহণ করেছে’ এবং আলোচনার লক্ষ্য ছিল তার দেশের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করা।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বর্তমান যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান ঘটায়।
কিন্তু ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
নভেম্বরে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামরায় শিশুসহ কমপক্ষে ১২৭ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, এই হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’ এর সমান।
গত সপ্তাহে বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার হাইথাম আলী তাবতাবাই নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা আরো তীব্র হয়ে ওঠে।
২০২৪ সালে যুদ্ধবিরতির পর থেকে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরায়েলের অভিযোগ, লেবানন সরকার হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ছাড়তে বাধ্য করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইসরায়েলের এমন দাবি লেবানন সরকার অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলি অব্যাহত হামলা লেবাননে আশঙ্কা তৈরি করেছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের বিমান অভিযান আরো বাড়াতে পারে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডে হামলা ও দেশটির দক্ষিণে পাঁচটি স্থানে দখল অব্যাহত রাখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের অস্ত্র ছাড়তে রাজি নয়।
ঢাকা/ফিরোজ