আইপিএলে এবার মিনি নিলামের জন্য নিবন্ধিত হয়েছিলেন ১৩৯০ জন ক্রিকেটার। এর মধ্য থেকে ৩৫০ খেলোয়াড়কে বাছাই করে নিলামের জন্য চূড়ান্ত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের ওয়েবসাইটে আজ এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশের ৭ ক্রিকেটার নিলামের জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন—মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান, রাকিবুল হাসান ও শরীফুল ইসলাম। প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা হয়নি সাকিব আল হাসানের।

আবুধাবিতে ১৬ ডিসেম্বর এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

২ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নিলামের জন্য নিবন্ধিত ক্রিকেটারদের মধ্যে ৪৫ খেলোয়াড়ের ভিত্তিমূল্য সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি। নিলাম তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় তালিকা ৪০ জনে নেমে এসেছে এবং তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিশাদ, পেসার তাসকিন, তানজিম, নাহিদ ও শরীফুলের ভিত্তিমূল্য ৭৫ লাখ রুপি। স্পিনার রাকিবুলের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ রুপি।

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনুরোধে ৩৫ খেলোয়াড়কে নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, জর্জ লিন্ডে ও শ্রীলঙ্কার দুনিত ভেল্লালাগে। নিলামের জন্য চূড়ান্ত হওয়া ৩৫০ খেলোয়াড়ের মধ্যে ২৪০ জন ভারতীয়, ১১০ জন বিদেশি। নিলাম থেকে ৭৭ ক্রিকেটারকে কেনার সুযোগ আছে, যেখানে ৩২টি জায়গা বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাজেট নিলামের জন্য সবচেয়ে বেশি—৬৪.

৩০ কোটি রুপি। ৬ জন বিদেশিসহ ১৩ খেলোয়াড়ের জায়গা পূরণ করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।

নিলামে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটারদের মধ্যে দুজন ভারতীয়—ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রবি বিঞ্চোই। ৯ ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য দেড় কোটি রুপি, ১.২৫ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য চার ক্রিকেটারের এবং ১৭ ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি। ৪২ ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য ৭৫ লাখ রুপি, ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্য চার ক্রিকেটারের ও ৪০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্য সাত ক্রিকেটারের। সর্বোচ্চ ২২৭ ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ রুপি।

এবার মিনি নিলামে বিশ্লেষকদের ধারণা, অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের দাম সর্বোচ্চ হতে পারে। তিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে নাম নিবন্ধিত করেছেন এবং নিলামের প্রথম সেটে আছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ল ম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে জামায়াতের প্রার্থীর উপরে হামলা, আহত ১২

ইসলামী জলসায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদরের একাংশ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজার উপরে।

হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা জামায়াত অফিসে শেষ হয়। এসময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায় তারা।

এর আগে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, সোনামুখী বাজার এলাকায় একটি ইসলামী জলসায় অংশ নেন মাওলানা শাহীনুর আলম ও তার সমর্থকরা। এই জলসা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জামায়াতের এমপি প্রার্থী বাড়ি ফেরার পথে সোনামুখী বাজার এলাকায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে বিএনপির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। 

এসময় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মাওলানা শাহীনুর আলমকে বাঁচাতে গিয়ে জামায়াতের অন্তত ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে সোনামুখী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, কর্মী ওমর ফারুক ও আব্দুল আওয়ালকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, “বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী সেলিম রেজার নেতৃত্বে জামায়াতের প্রার্থীর উপরে তিন দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা বলেন, “বিএনপির কেউ জামায়াতের প্রার্থী ও তার লোকজনের ওপর হামলা করেনি। এটি মিথ্যা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।”

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান বলেন, “জামায়াতের প্রার্থীর ওপর হামলার কথাটি সত্য নয়, মূলত জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।”

ঢাকা/অদিত্য/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ