মারামারি বন্ধে ‘শান্তিচুক্তির’ এক মাসের মাথায় আবারো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশ্যাল নিক্ষেপ করেছে। 

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ঢাকা কলেজের ৮–১০ জন শিক্ষার্থী লাঠি হাতে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধাওয়া করলে দু’পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে নিউমার্কেট থানা পুলিশ দুই পক্ষকে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় আইডিয়াল কলেজের আদনান (১৭) নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে পরীক্ষার কারণে তাকে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সায়েন্সল্যাব এলাকায় দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা কলেজের একটি বাসে আইডিয়াল কলেজের ১০–১২ জন শিক্ষার্থী হামলা চালায়। এতে ঢাকা কলেজের তিন–চারজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা কলেজের প্রায় ১০০–১২০ জন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে আইডিয়াল কলেজের সামনে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আশ্রয় নেয়। পরে আবারো উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, দু’পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুইটি সাউন্ড গ্রেনেড ও পাঁচটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যের হাতে আঘাত লাগলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। ওই এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।  

ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরির পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই সমস্যা সমাধানে গত ৯ নভেম্বর নিউমার্কেট থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি মৌখিক ‘শান্তিচুক্তি’ হয়। আর মারামারি করবেন না বলে তখন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তারা।

ঢাকা/এমআর/রায়হান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র শ ক ষ র থ ল কল জ র স ঘর ষ আইড য

এছাড়াও পড়ুন:

‘৫ বছরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া খেলবে ৩০০ ম্যাচ, আমরা ৫০-৬০টি’

আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলেছে তারা। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫–৩ আর ফ্রান্সের কাছে ৩–২ গোলের হার, কোরিয়ার সঙ্গে ড্র। কোরিয়াকে আরেকবার হারিয়েছে, ওমানকে দাঁড়াতেই দেয়নি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত। সত্যি, এতটা আমরা আশা করিনি। আমিরুলের পারফরম্যান্সও অসাধারণ। এটাও ঠিক, দলের অন্যরা আমিরুলের ওপর আস্থা রেখেছে। সেও সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। পুরো দলই দারুণ খেলেছে।
আমরা বিশ্বকাপের জন্য ক্যাম্প করেছি, বিদেশি কোচ এনেছি; এই রীতি নতুন নয়। কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আগেই আমাদের বেশি তৎপর দেখা যায়। এরপর আবার সবাই চুপচাপ। জাতীয় দলের বেলায়ও একই। আমরা অনেক ভালো ভালো সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ হলে দলটা আবার অগোছালো হয়ে যায়। লিগ নেই, কোনো ম্যাচ হয় না। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হলে ম্যাচ খেলার কোনো বিকল্প নেই।

হকি তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি

সম্পর্কিত নিবন্ধ