আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলেছে তারা। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫–৩ আর ফ্রান্সের কাছে ৩–২ গোলের হার, কোরিয়ার সঙ্গে ড্র। কোরিয়াকে আরেকবার হারিয়েছে, ওমানকে দাঁড়াতেই দেয়নি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত। সত্যি, এতটা আমরা আশা করিনি। আমিরুলের পারফরম্যান্সও অসাধারণ। এটাও ঠিক, দলের অন্যরা আমিরুলের ওপর আস্থা রেখেছে। সেও সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। পুরো দলই দারুণ খেলেছে।
আমরা বিশ্বকাপের জন্য ক্যাম্প করেছি, বিদেশি কোচ এনেছি; এই রীতি নতুন নয়। কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আগেই আমাদের বেশি তৎপর দেখা যায়। এরপর আবার সবাই চুপচাপ। জাতীয় দলের বেলায়ও একই। আমরা অনেক ভালো ভালো সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ হলে দলটা আবার অগোছালো হয়ে যায়। লিগ নেই, কোনো ম্যাচ হয় না। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হলে ম্যাচ খেলার কোনো বিকল্প নেই।

হকি তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নেহার নাচকে কেন ‘অশ্লীল’ বলছেন নেটিজেনরা?

মঞ্চের সামনে অগণিত দর্শক। তাদের আনন্দ ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ। বাহারি আলোর দ্যুতিতে ঝলমলে মঞ্চে পারফর্ম করছেন বলিউডের আলোচিত গায়িকা নেহা কাক্কর।  

তার পরনে শরীরচাপা লেপার্ড-প্রিন্ট আউটফিট। ব্রালেট, ফ্রিঞ্জড মিনি স্কার্ট আর থাই-হাই বুটে আবেদনময়ী নেহা। লম্বা ব্লন্ড ঢেউ খেলানো চুল ঝাঁকিয়ে গানের তালে শরীরি মুভে নেহা যেন স্পষ্টভাবেই পারফরম্যান্সের ‘মুড’ ঠিক করে দিচ্ছেন। 

আরো পড়ুন:

সংসার ভাঙার গুঞ্জনে মুখ খুললেন দিব্যা

পরিচালক বিক্রম ভাট গ্রেপ্তার

গান আর নাচের ফাঁকে নেহা পানির বোতল তুলে নিজের বুকের ওপরে ঢালতে থাকেন। শরীর থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল; গান আর নাচও চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী। নেহা কাক্কর তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।  

দিল্লির একটি লাইভ কনসার্টে নেহা কাক্করের পারফরম্যান্স দেখে নেটিজেনদের একাংশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অন্য অংশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। কেউ কেউ বলছেন, “অদম্য নেহা-এনার্জি।” কারো মতে, “মঞ্চে কী দাপট।” আবার বুকের ওপরে জল ঢালার দৃশ্যটিকে কেউ কেউ ‘অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্নেহা লেখেন, “নোংরা।” অন্য একজন লেখেন, “কুৎসিত।” কেউ কেউ তাকে ‘বার ড্যান্সার’ বলেও মন্তব্য করেছেন।  

এখানেই শেষ নয়, প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে একজন লেখেন, “সুরের রানি থেকে এরকম পর্যায় নেমে আসা?”  আবার একজন আক্ষেপ করে লেখেন, “একজন ভালো গায়িকা হিসেবে নিজের ব্যক্তিত্ব নিজেই নষ্ট করছেন নেহা।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি নেহা। আর এমন বিতর্ক নেহার কাছে নতুন কিছু নয়।  

১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তর প্রদেশের ঋষিকেশে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন নেহা কাক্কর। তার বাবা ছিলেন শিঙাড়া বিক্রেতা। বড় বোন সনু কাক্কর ও ভাই টনি কাক্কর উভয়ে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। মাত্র চার বছর বয়স থেকে গান শুরু করেন নেহা। ২০০৫ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের মাধ্যমে গায়িকা হিসেবে নজর কাড়েন নেহা।‍

২০০৮ সালে ভাই টনির সঙ্গে মুম্বাই পা রাখেন নেহা। সেই বছরই ‘নেহা দ্য রকস্টার’ নামে তার প্রথম গানের অ্যালবাম মুক্তি পায়। ২০১৩ সালে ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’সিনেমার ‘ধাতিং নাচ’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন। ২০১৪ সালে তার ‘সানি সানি’গানটি দারুণ হিট হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক তুমুল জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

নেহার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘জাদু কা ঝাপ্পি’, ‘টুকুর টুকুর’, ‘ন্যায়না’, ‘মে তেরা বয়ফ্রেন্ড’, ‘দিলবার দিলবার’, ‘কালা চশমা’, ‘আঁখ মারে’, ‘কোকাকোলা’, ‘সাকি সাকি’ প্রভৃতি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেহার নাচকে কেন ‘অশ্লীল’ বলছেন নেটিজেনরা?
  • বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে এগিয়েছে, ওয়ানডেতে সময় প্রয়োজন:
  • সালাহ বললেন, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে’
  • বছর শেষে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার হালচাল কী?