নির্বাচনে আ.লীগকে চান না ২৮%, শর্তহীন ও শর্তযুক্তভাবে চান ৬৯%
Published: 9th, December 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পতিত দল আওয়ামী লীগকে বিনা শর্তে অথবা শর্ত দিয়ে নির্বাচনে চান বেশির ভাগ মানুষ। একটি বড় অংশ অবশ্য আওয়ামী লীগকে ভোটে দেখতে চান না।
প্রথম আলোর উদ্যোগে করা এক জরিপে মানুষের এই মতামত উঠে এসেছে। জরিপটি করানো হয়েছে কিমেকারস কনসাল্টিং লিমিটেডকে দিয়ে। জরিপের শিরোনাম ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’।
জরিপে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণ–অভ্যুত্থানে পতিত দল আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ সম্পর্কে আপনার মতামত কী? এই প্রশ্নে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, বিনা শর্তে আওয়ামী লীগকে ভোটে অংশ নিতে দেওয়া উচিত। ২৬ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, শাস্তি ও সংস্কার হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ মনে করেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।এ ছাড়া শুধু শর্ত দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যায়, এমন উত্তরদাতা দশমিক ৪ শতাংশ। আগে বিচার, তারপর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ—এ রকম মত দিয়েছেন উত্তরদাতাদের দশমিক ১ শতাংশ। আর উত্তরদাতাদের মধ্যে দশমিক ১ শতাংশ মনে করেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, শর্তহীনভাবে অথবা বিভিন্ন শর্তে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ। আর ২ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
শর্তহীনভাবে অথবা শর্তযুক্ত অবস্থায় ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিলেও দলটির জয়ের সম্ভাবনা খুব একটা দেখছেন না তাঁরা। জরিপে এক প্রশ্নে ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করবে বিএনপি। ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করবে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন ৭ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতা।
প্রথম আলো গ্রাফিকস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি লড়বেন ৬৮ জন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এ বছর তিন ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৯৯৭টি, ফলে আসনপ্রতি লড়বেন ৬৮ ভর্তিচ্ছু।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. ছাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে রাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছিল। আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদন করার আর সুযোগ নেই।”
এ বছর তিন ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৫টি। 'এ' ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৫১৪টি। 'বি' ইউনিটে (বাণিজ্য বিভাগ) ৩০ হাজার ৮৮৬টি। তার মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে ১৮ হাজার ৪৫২ জন ও অ-বাণিজ্যদের সংখ্যা ১২ হাজার ৪৩৪ জন। 'সি' ইউনিটে (বিজ্ঞান বিভাগ) ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৫টি।
জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ৮৯৭টি, ‘বি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৫৬৪টি; তন্মেধ্যে বাণিজ্য শাখার জন্য ৩৭৫টি; বিজ্ঞান শাখার আসন সংখ্যা ১৫৮টি এবং মানবিক শাখার ৩১টি আসন হয়েছে। এছাড়া ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন আসন সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৫৩৬টি। যার মধ্যে বিজ্ঞান শাখার আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৬টি।
এবারের ভর্তি পরীক্ষা ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান) দিয়ে শুরু হবে। ১৬ জানুয়ারি 'সি' ইউনিট (বিজ্ঞান), ১৭ জানুয়ারি 'এ' ইউনিট (মানবিক) এবং ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দুই শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম শিফটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বিকেল ৩টা থেকে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, এবারের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর ও বরিশাল বিভাগে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ফাহিম/ইভা