২০২৬ সালের মার্চ মাসেই পাবনা থেকে সরাসরি ঢাকায় ট্রেন চালুর আশার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেল যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন। 

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে পাবনার পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, “বর্তমানে রেল বিভাগে কিছু কোচ সংকট রয়েছে। অল্পদিনেই তা নিরসনের মধ্য দিয়ে মার্চ মাস থেকে পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল বিভাগ।”

এসময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে নির্মিত অপব্যবহৃত রেলস্টেশনটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তিনি। 

সারাদেশে নৌ, রেল ও সড়ক পথে সমন্বিত আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনা জানিয়ে শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, দেশের জেলা পর্যায়ের সংযোগকারী মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ ও প্রধান সড়কগুলো প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরনো জেলা হিসেবে পাবনার প্রধান আব্দুল হামিদ সড়ক প্রশস্তকরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে সরকার। 

পাশাপাশি, আরিচা খাসচর ফেরি সংযোগ প্রকল্প, পাকশী-বাধেরহাট সড়ক প্রশস্তকরণ, কাশীনাথপুর-উল্লাপাড়া সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। একইসাথে ঈশ্বরদী রেলগেটে যানজট নিরসনে ওভারপাস নির্মাণের আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। 

এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী, পাবনা সদর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, পাবনা-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের কাছে পাবনাবাসীর পক্ষ থেকে যোগাযোগ উন্নয়নে দীর্ঘদিনের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন গতকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদী আসেন। মঙ্গলবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও উপদেষ্টার ছাত্রজীবনের স্মৃতি বিজড়িত নর্থ বেঙ্গল পেপারমিল স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। 

এসময় পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ খান মন্টু, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির মহাসচিব আবু আহসান খান রেয়ন ও পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ মঈন দ দ ন র ব শ ষ সহক র প রশস তকরণ প রশস ত ব এনপ সড়ক প

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় কাটা হচ্ছে সড়কের পাশের সহস্রাধিক পুরোনো গাছ

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ–মহাদেবপুর প্রধান সড়ক থেকে শুরু হয়ে মহাদেবপুর–মাতাজীহাট সড়কে মিলেছে একটি গ্রামীণ সড়ক। সেই সড়কের জন্তিগ্রাম থেকে কদমতলী মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘অর্জুনগাছের সড়ক’ নামে পরিচিত। সড়কটির দুই পাশে অর্জুনসহ বিভিন্ন জাতের গাছের সমারোহ। কিন্তু এসব গাছ আর থাকবে না। সড়ক সম্প্রসারণের নামে এখানকার এক হাজারের বেশি গাছ কাটা শুরু হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে জন্তিগ্রাম–কদমতলী সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, কদমতলী মোড় থেকে প্রায় ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে সড়কটির দুই পাশের গাছ কাটা শুরু হয়েছে। সড়কের দুই পাশে থাকা ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে লাগানো অর্জুনগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা হচ্ছে। ৮ থেকে ১০ শ্রমিকের কেউ গাছের ডাল, কেউ আবার গাছের গোড়া কাটতে ব্যস্ত। কেটে ফেলা কিছু গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে সড়কের পাশে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সড়ক প্রশস্তকরণের নামে ঔষধি গুণসম্পন্ন অর্জুনগাছসহ প্রায় দেড় হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়কটিতে প্রচুর অর্জুনগাছ থাকায় এটি স্থানীয়ভাবে অর্জুনগাছের সড়ক নামেই পরিচিত। দূরদূরান্ত থেকে এই সড়কে মানুষ আসত অর্জুনগাছের ছাল সংগ্রহ করার জন্য। জন্তিগ্রাম–কদমতলী সড়কটি যে পরিমাণ প্রশস্ত আছে, এটি দিয়ে আরও অন্তত ২০ থেকে ৩০ বছর চলাচল করতে এলাকাবাসীর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাঁদের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে সড়কের গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করতেই এই কাজ করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক প্রশস্তকরণের নামে গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ। মহাদেবপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত দাস বলেন, সড়ক প্রশস্ত করার জন্য গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাছগুলো রেখে সড়ক প্রশস্তকরণে ঝুঁকি ছিল। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এখান থেকে টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রশস্তকরণ কাজ শেষ হয়ে গেলে সেখানে আবারও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

সড়কের পাশে রাখা হয়েছে কাটা গাছের গুঁড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কী
  • নওগাঁয় কাটা হচ্ছে সড়কের পাশের সহস্রাধিক পুরোনো গাছ