আসন পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে বহিষ্কার
Published: 9th, December 2025 GMT
আসন পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়ার পর পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাওলাদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে দলটির জেলা কমিটির সদস্য আবুল হাসান বোখারীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা কমিটির সভাপতি হাওলাদার মো.
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় হাবিবুর রহমান হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আসলে আমার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। যার কারণে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে নির্বাচন করার স্বপ্ন ফেরি করে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। আমার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও মুহতারাম চরমোনাইর পীর সাহেব ও দলের আমির দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে পটুয়াখালী সদর আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এতে আমি হতাশ হই। তারপরেও পটুয়াখালী সদর আসনে নির্বাচন করার জন্য দুই মাস ধরে কাজ করি।’
এ সিদ্ধান্ত কলাপাড়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মানতে পারছিলেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তাঁরা আমাকে বারবার চাপ দিতে থাকে। এসব নেতা-কর্মীর একটাই কথা, আমার নিজ এলাকা পটুয়াখালী-৪ আসনেই নির্বাচন করতে হবে। নেতা-কর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে অবহেলা করে টাকার রাজনীতির কাছে নতি স্বীকার করে আমি তাঁদের ছেড়ে যেতে পারি না। এ কারণে পটুয়াখালী সদর আসন ছেড়ে দিয়ে আমার নিজ নির্বাচনী এলাকা কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পটুয়াখালী-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মুফতি হাবিবকে স্থানীয় বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে। মুফতি হাবিব মোটরসাইকেল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহরে এক-দেড় শ লোক নিয়ে একটা মহড়া দিয়েছেন, তাতে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী। এতে আমার তেমন ক্ষতি হবে না; বরং ইসলামী আন্দোলনের সাচ্চা নেতা-কর্মীরা ইমানি শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করবেন। এ নিয়ে আমরা একটুও বিচলিত নই।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জিমেইলের জায়গা খালি করার ৫ কৌশল
জিমেইলের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ ই–মেইল প্রাপকের কাছে না পৌঁছে ফিরে আসে বা জিমেইলের বেশ কিছু সুবিধা ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না। ফলে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটে। জিমেইলে নির্ধারিত স্টোরেজের চেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে থাকে গুগল। তবে অর্থ খরচ না করে সহজেই এ সমস্যার সমাধান করা যায়। জিমেইলের স্টোরেজ খালি করার পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. ট্র্যাশ ও স্প্যাম খালি করামুছে ফেলা ই–মেইলগুলো সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় না। ট্র্যাশ ফোল্ডারে ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে এবং এই সময়েও জিমেইলের জায়গা পূর্ণ থাকে। স্প্যাম ফোল্ডারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। আর তাই নিয়মিত ট্র্যাশ ও স্প্যাম ফোল্ডারে থাকা ই–মেইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
২. বড় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই–মেইল মুছে ফেলাই–মেইলের অ্যাটাচমেন্ট সাধারণত সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে। আর তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই–মেইলগুলো মুছে ফেলতে হবে। জিমেইলের সার্চ বক্সে has:attachment larger:10M লিখলেই ১০ মেগাবাইটের বেশি আকারের ই–মেইলগুলো দেখা যাবে।
৩. নিউজলেটার ও প্রমোশনাল ই–মেইলের নিবন্ধন বাতিলপ্রমোশনস ট্যাবে জমে থাকা অফার, বিজ্ঞাপন ও নিউজলেটার দ্রুত জায়গা দখল করে রাখে। আর তাই একই ধরনের বার্তা বেশি এলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ই–মেইল সাবস্ক্রিপশন সুবিধা আন সাবস্ক্রাইব করতে হরে।
৪. গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার ব্যবহারগুগল ওয়ানের স্টোরেজ ম্যানেজারে ই–মেইল, ড্রাইভ ও ফটোসের স্টোরেজ ব্যবহার এক জায়গায় দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করা অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো চিহ্নিত করে মুছে ফেলতে হবে।
৫. গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংক ব্যবহারবড় ছবি বা ভিডিও সরাসরি ই–মেইলে পাঠানোর বদলে গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংক ব্যবহার করলে কম জায়গা দখল করে। আর তাই ছবি বা ভিডিওগুলো জিমেইলের বদলে ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংকের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতে হবে।