দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ভবিষ্যতে কেউ চাইলেও ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন না।

পর্যায়ক্রমে ভ্যাট নিবন্ধন ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদ্‌যাপনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আবদুর রহমান খান।

আগামীকাল বুধবার ভ্যাট দিবস উপলক্ষে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ভ্যাট সপ্তাহ উদ্‌যাপিত হবে। এ বছরের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ নিবন্ধন অভিযান চালানো হবে। এর মাধ্যমে এক লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এটা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা হবে।

সেই সঙ্গে আবদুর রহমান খান বলেন, এক ক্লিকেই ভ্যাট দেওয়ার পদ্ধতি চালু করা হবে। কিছু বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এখন এক ক্লিকেই ভ্যাট দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার। এ বছর ৪০ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন আবদুর রহমান খান।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আজ পর্যন্ত ২২ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়েছে। আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভবিষ্যতে ই-রিটার্ন জমার সঙ্গে ব্যাংকের সমন্বয় করা হবে। ই-রিটার্ন জমার দেওয়ার সময় ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য দিতে হয়। সে জন্য করদাতাদের ব্যাংকের কাছে যেতে হয়। বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটা হলে করদাতাদের ভোগান্তি কমবে। মানুষের মধ্যে অবশ্য ভুল ধারণা আছে যে রাজস্ব কর্মকর্তারা এ তথ্য দেখতে পারবেন, বাস্তবে তা হয় না।’

রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধিবিষয়ক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্যই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। তবে কোনো অবস্থায় যেন হয়রানি বা জুলুম করা না হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করব। মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের কাছ থেকেই আমরা রাজস্ব আদায়ের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এবারও ভ্যাট পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান আবদুর রহমান খান। এর নীতিমালা নিয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো.

আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন আবদ র রহম ন খ ন ভ য ট ন বন ধ এনব আর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জিমেইলের জায়গা খালি করার ৫ কৌশল

জিমেইলের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ ই–মেইল প্রাপকের কাছে না পৌঁছে ফিরে আসে বা জিমেইলের বেশ কিছু সুবিধা ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না। ফলে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটে। জিমেইলে নির্ধারিত স্টোরেজের চেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে থাকে গুগল। তবে অর্থ খরচ না করে সহজেই এ সমস্যার সমাধান করা যায়। জিমেইলের স্টোরেজ খালি করার পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যাক।

১. ট্র্যাশ ও স্প্যাম খালি করা

মুছে ফেলা ই–মেইলগুলো সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় না। ট্র্যাশ ফোল্ডারে ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে এবং এই সময়েও জিমেইলের জায়গা পূর্ণ থাকে। স্প্যাম ফোল্ডারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। আর তাই নিয়মিত ট্র্যাশ ও স্প্যাম ফোল্ডারে থাকা ই–মেইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।

২. বড় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই–মেইল মুছে ফেলা

ই–মেইলের অ্যাটাচমেন্ট সাধারণত সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে। আর তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই–মেইলগুলো মুছে ফেলতে হবে। জিমেইলের সার্চ বক্সে has:attachment larger:10M লিখলেই ১০ মেগাবাইটের বেশি আকারের ই–মেইলগুলো দেখা যাবে।

৩. নিউজলেটার ও প্রমোশনাল ই–মেইলের নিবন্ধন বাতিল

প্রমোশনস ট্যাবে জমে থাকা অফার, বিজ্ঞাপন ও নিউজলেটার দ্রুত জায়গা দখল করে রাখে। আর তাই একই ধরনের বার্তা বেশি এলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ই–মেইল সাবস্ক্রিপশন সুবিধা আন সাবস্ক্রাইব করতে হরে।

৪. গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার ব্যবহার

গুগল ওয়ানের স্টোরেজ ম্যানেজারে ই–মেইল, ড্রাইভ ও ফটোসের স্টোরেজ ব্যবহার এক জায়গায় দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করা অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো চিহ্নিত করে মুছে ফেলতে হবে।

৫. গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংক ব্যবহার

বড় ছবি বা ভিডিও সরাসরি ই–মেইলে পাঠানোর বদলে গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংক ব্যবহার করলে কম জায়গা দখল করে। আর তাই ছবি বা ভিডিওগুলো জিমেইলের বদলে ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউডের লিংকের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ